নড়াইলে এক গৃহবধূকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাহাদ নামে এক যুবকে আটক করেছে পুলিশ । ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে যানা যায় , গৃহবধুকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন কতিপয় কিছু যুবক। পরে সেটি আবার ভিডিও করেন তারা। আর এই ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণকারীদের নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামী ও তার পরিবার কে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ঐ মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে। এ বিষয়টি জানাজানির এক পর্যায়ে কালিনগর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূ কান্না জড়িত কন্ঠে জানান,সেই রাতে আমার স্বামী বাড়ি ছিল না। আমি রাতে ঘর থেকে বাইরে আসলে একই গ্রামের মামুন শেখ, ইমরান মোল্যা ও ফাহাদ তিন জন মিলে আমাকে জড়িয়ে ধরে মুখ বেধে ফেলে। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে আমার সাথে খারাপ কাজ করেন। এবং আমাকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে আমাকে ওই ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে খারাপ কাজ করাতে বাধ্য করেন। এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী, ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। ধর্ষণকারীর মধ্যে মামুন শেখ স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়ার ছেলে। এ বিষয়ে জানতে রাজিয়ার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার ছেলে ওই কাম করেনি। তবে ভিডিও ধারন করেছে। পরে ওই ভিডিও ডিলিট করা হয়েছে। ইমরান ও মামুন কে বাড়ি গিয়ে পাওয়া যায় নি। এলাকাবাসী জানান, এঘটনায় এলকার সচেতন মহল প্রতিবাদ করতে গেলে উলটে প্রতিবাদ কারীদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল এহেন ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানায় (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।