মোঃ আকাশ রহমান ,স্টাফ রিপোর্টার
ঠাকুরগাঁওয়ে অপ্রাপ্ত বয়সী মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অপরাধ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামসহ নয় জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন,বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, নিকাহ রেজিষ্ট্রার আব্দুল কাদের, মুন্সি দারাসতুল্লাহ,আবুল কালাম আজাদ, বাবুল হোসেন, রিতা আক্তার, সারওয়ার হোসেন ও সাজু। তবে মামলার দশ নম্বর আসামী সাজু পালাতক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মে ঘটিত বিষয়ে সালিশের নামে কৌশলে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে ছেলেকে আকের পর কয়েক লাখ টাকা দাবি করে চেয়ারম্যানসহ আসামীরা। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের খাদেমুলের মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের মিজানুরের (২৬) বিয়ে দেয়। পরে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগ এনে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করলে গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে দশ জনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য জমা দেন থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা।
ওই মামলা দশজনের নয়জন আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার বাদী মিজানুর বলেন, সালিশের নামে অন্যায়ভাবে আমার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যে মেয়েটির সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া হয়েছে সে নাবালিকা। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্ত বিচার দাবি করছি। চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের ইয়াবা সেবনের ও মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী বলে জানান তিনি। এ ধরনের চেয়াম্যানের বিচার না হলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।