দিনাজপুরে ইজি বাইক চালকের রহস্যজনক হত্যাকান্ডের২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীরা গ্রেফতার

 

ইজি বাইক চালকের ক্লুলেস হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর কোতয়ালী পুলিশ।

দিনাজপুর কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা যায় যে, গত ২৪ মে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ইজি বাইক চালক মোঃ সাবু মিয়া ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে যায়। কিন্তু এই যাওয়াই তার শেষ যাওয়া। দিনাজপুর শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এর মৃত আলাউদ্দিন এর পুত্র মোঃ সোনা বাবু (২২) এবং মৃত আনসার আলীর পুত্র মোঃ সোহাগ ইসলাম ওরফে সোহাগ (২৩) গত ২৪ মে বিকাল অনুমান ৫টার সময় অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ৫০/- টাকা দিয়ে একটি চাকু ক্রয় করে। পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামী সোনা বাবু ও সোহাগ রাত ১০টার সময় বালুবাড়ী শহীদ মিনার মোড়ে তাদের পূর্ব পরিচিত সাবু মিয়াকে দেখে তারা সাবু মিয়াকে মাদক সেবনের প্রস্তাব দিলে সাবু মিয়া তাতে রাজী হয়। তখন আসামীরা সাবু মিয়ার ইজি বাইকে উঠে মাতাসাগরের দিকে রওয়ানা হয়। এর ৪০ মিনিট পর তারা তিনজন ইজি বাইক নিয়ে কোতয়ালী থানাধীন ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের অন্তর্গত রাজারামপুর গ্রামস্থ জনৈক তমাল হোসেনের কলা বাগানের নিকট রাস্তার উপর ইজি বাইকটি রেখে তারা কলা বাগানের ভিতর মাদক সেবনের জন্য প্রবেশ করে। সেখানে মাদক সেবন করাকালীন আসামী সোহাগ ও সোনা বাবু ইজি বাইক চালক মোঃ সাবু মিয়াকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে এবং একপর্যায়ে গলা কেটে জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে সাবু মিয়ার ইজি বাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ড ঘটার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন এর তত্ত্বাবধানে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আসাদ এর সহযোগিতায় ফুলবাড়ী থানা কর্তৃপক্ষ আসামীদেরকে আটক করার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ সেলিমুর রহমানের নেতৃত্বে এস.আই বাদল কুমার মন্ডল ও এস.আই রবিউল ইসলাম আসামীদেরকে ফুলবাড়ী থানা থেকে নিয়ে এসে তদন্তকালীন তাদের নিকট থেকে ইজিবাইক, ইজিবাইক চালকের মোবাইল ফোন ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু উদ্ধার শেষে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন এবং ২৬ মে আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।