সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথমে জুলেখা জুলি ও তারপর তার স্বামী জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ঢাকার আজমপুরের এক তরুণীর।
সিলেটে এই দম্পতির বাসায় বেড়াতে আসার পর জুলির সহযোগিতায় তার স্বামীসহ কয়েকজনের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই তরুণী।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় জুবায়ের ও জুলিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জের হাছননগরের জুনু মিয়ার ছেলে জুবায়ের হোসেন, তার স্ত্রী জুলেখা জুলি ও সিলেট সদর উপজেলার নাজিরেরগাঁও গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের ছেলে জয়নাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
জুবায়ের-জুলি দম্পতি নাজিরেরগাঁও গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। এই ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সদর উপজেলার নলকট গ্রামের মৃত বয়তুল্লাহ মিয়ার ছেলে সেলিম আহমদ এখনও পলাতক।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, গত ১৯ আগস্ট রাত ৯টা থেকে ২১ আগস্ট দিবাগত রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত নাজিরেরগাঁওয়ে জুবায়ের-জুলির বাসায় ভিকটিম তরুণীকে আটকে রেখে জুবায়েরসহ সাতজন ধর্ষণ করে। এই কাণ্ডে জুলি সহযোগিতা করেছে।
তিনি আরো বলেন, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।