মোঃ আমিনুল ইসলাম জুয়েল,নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৪বছর বয়সী ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছেন মাহাবুবুর রহমান মহাবীর (৪৩) নামের ২সন্তানের জনক এক মাদ্রাসা শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গছাইল গ্রামের মৃত আবু জাফরের ছেলে এবং গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার কর্মরত ক্রীড়া শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মহাবীর একজন নারীলোভী। নিজ স্কুলের ছাত্রীদের টার্গেট করে ফুসলিয়ে কিংবা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক এবং বিয়ে করায় তার নেশা। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রয়ারী মাদ্রাসার বার্ষিক অনুষ্ঠান চলাকালে নাসিমা (১৪) নামের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বিয়ে করে। এর আগেও নিজ প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে কায়দা করে বিয়ে করেছিল। সেই পক্ষের ২টি ছেলে সন্তান রয়েছে। ১৪ বছরের এই মেয়ের বয়সী ছাত্রীকে বিয়ে করতেই প্রথম স্ত্রী বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত।
এই ঘটনায় অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক, অবিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মহাবীরের পরপর দুইটি ন্যাক্কার জনক ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে অত্র মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত অন্যান্য ছাত্রীদের অবিভাবকদের মধ্যে।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার বাকী বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় আমরা বিব্রত এবং চিন্তিত। ঘটনার দিন শিক্ষক মাহবুবুর এবং ছাত্রী নাসিমা বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্কুলেই ছিল। সন্ধ্যায় জানতে পারি তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে।
উক্ত বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমেই প্রথম শুনলাম। একজন শিক্ষকের এমন কর্মকান্ড কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না। আগামীকাল স্কুল ছুটি রয়েছে। পরশু অবশ্যই গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রায়হানুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।