আশিকুর রহমান আদনান,জবি প্রতিনিধিঃ চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সারাদেশে ডিজেল চালিত বাসগুলোর ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সিএনজি চালিত বাসগুলো তথ্য গোপন করে ডিজেল চালিত বলে বেশি ভাড়া আদায় করছে। প্রায় সময়ই যাত্রীদের সাথে বাসের কন্ডাকটরের বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতির পর্যায়েও চলে যাচ্ছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাশের নিয়ম থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। উলটো হাফ পাশের কথা বললে নানা রকম হেনস্তার শিকার হচ্ছে।
চিড়িয়াখানা থেকে সদরঘাটগামী তানজিল বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক হাফ ভাড়া দিতে গিয়ে ব্যর্থ হন। তার কাছে ৫০ টাকা ভাড়া দাবি করে কন্ডাকটর। যেখানে পূর্বের ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। ৫০ টাকা দিতে না চাইলে বাস থেকে নেমে যেতে বলে।
এভাবে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের হাফ পাশ না দিয়ে বরং বেশি ভাড়া আদায় করছে। রাজধানীতে রাইদা ও রজনীগন্ধা পরিবহন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হাফ পাশ দিতে স্বীকৃতি জানায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে শিক্ষার্থীরা কয়েকদফায় হাফপাশ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদন করলে সদরঘাটগামী বাসপরিচালকদের সাথে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠকের আহবান করা হয়েছে। ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি রোধে কি করা যায় আমরা কয়েকদিন যাবৎ ভাবছি। তাই এদিকের সকল বাস পরিচালকদের সাথে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।আমাদের প্রথম দাবি হাফ ভাড়া। এছাড়া আরো কিছু দাবি আছে।”
শিক্ষার্থীরা মনে করে এতে তাদের অধিকার আদায় হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।