ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া কাবিনে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের পর দীর্ঘদিন মেলামেশা করে এক নারীর সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া জাহাঙ্গীর আলম নামে এক পুলিশের উপ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী এ অভিযোগ করেন। 

পুলিশের উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন।। সম্প্রতি মাদক সেবন ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ এবং আদালতে মামলার পর তাকে ক্লোজ করে ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে বদলী করা হয়েছে। তার বাড়ী পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। সেখানে তার পুর্বের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, পীরগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাবস্থায় তার সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে ভাড়া বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করে বিয়েসহ শারীরিক মেলামেশার কু-প্রস্তাব দিচ্ছিল জাহাঙ্গীর। তার আগের স্ত্রী-সন্তান থাকার বিষয়টি জানার পর প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে গেল গত বছরের ২২ মে সন্ধ্যায় জোর করে আমার ঘরে ঢুকে ভুয়া কাবিন নামায় স্বাক্ষর নেয়। এরপরে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি এবং সব ধরণের সুযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করে আমার সাথে ঘর-সংসার শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই বাড়ীতে নিয়মিত মাদক সেবন, আমার কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়াসহ নানা ভাবে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। পুলিশ হওয়ার কারণে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে স্ত্রী হিসেবে তার বাড়ীতে সংসার করতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে সে যৌতুক বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা চায় আসবাবপত্র কেনার জন্য। টাকা দেওয়ার কিছুদিন পর ভুয়া কাবিনে বিয়ে হয়েছে, আমি তার বৈধ স্ত্রী না, সাময়িক ব্যবহার করার জন্য এসব নাটক করেছে বলে জানিয়ে ছেড়ে চলে যায়। অসহায় নারী হিসেবে নিরুপায় হইয়া ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে কোন সুফল না পাওয়ায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করি। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। সংবাদ সম্মলেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রতারক পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের দৃষ্ট্রান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন ওই নারী।

পুলিশের উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমের নিকট মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে ওই নারীর নাম শুনেই এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দেন। পরবতীতে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।