এস এম তাজাম্মুল,মনিরামপুরঃ

যশোরের মনিরামপুরের শ্যামকুড় এ ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় পলাতক মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতাঃ মৃত আলাউদ্দিন গ্রামঃ ইসলামপু্‌ ডাকঘরঃ জয়েনপুর, উপজেলাঃ দৌলতপু্‌ জেলাঃ মানিকগঞ্জকে ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত ২৮ফেব্রুঃ সোমবার অত্র মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু ছাত্র মোঃ আরিফ হোসেন(১৫) কে মারধর করে অভিযুক্ত শিক্ষক।কয়েক দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন,থানা অফিসার ইনচার্য নূরে আলম সিদ্দিকী,শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন (আলম) মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক শারিরীক নির্যাতনের শিকার শিশু ছাত্র আরিফ হোসেনের চিকিৎসার যাবতীয় খোঁজ খবর এবং সার্বিক ঘটনার বিশ্লেষণ,যাচাই ও তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনে করেছেন। উল্লেখ্য ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অত্র প্রতিষ্ঠানে গতকাল(৩রা মার্চ) রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে মনিরামপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) এর নির্দেশে পুলিশের একটি টিম সেখানে তদন্তে যায়। এর পরেই ঘটনাস্থলে যান ১২নং শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন, তিনি সহ স্থানীয় উপস্থিতিতে মাদ্রাসা পরিচালনা ঘরোয়া কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে পূর্ণ ঘটনাটি শোনেন এবং অভিযুক্ত পলাতক শিক্ষকের আটকের জন্য খোঁজ খবর নেওয়া সহ মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল আচরণের সাথে শিক্ষাদানের ব্যাপারে তাগিদ দেন। মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ মাহবুর রহমান বলেন আমাদের মাদ্রাসাটি যশোর জেলা সহ মনিরামপুর উপজেলার মধ্য ইসলামি সাংস্কৃতির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। আরিফ পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে শিক্ষক হাফিজুর তাকে জাগানোর উদ্দশ্যে লাঠি দিয়ে আঘাত করাতে ছাত্রটির চোখের চশমা ভেঙ্গে সেই কাচ চোখে লাগার ঘটনাটি ঘটার পরেই আরিফ কে মাদ্রাসার আরেক পরিচালক হাফিজুর রহমান প্রথমে কেশবপুর নিয়ে যায় এর পরে ডাক্তার বিষয়টি গুরুতর চিহ্নিত করার পর তাকে প্লেনে করে ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করা হয় এবং তার চোখে বারোটা সেলাই করা হয়েছে। সে বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি আরো বলেন আমরা শিক্ষক হাফিজুর কে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করেছি। আহত ছাত্র আরিফের পিতাঃমোঃ আয়ুব আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলে বর্তমানে সুস্থ আছে, আমি ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।