মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের মোবারেকপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের আঘাতে কবির (৫১) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ঐ এলাকার মৃত রইজউদ্দীন মোল্লার ছেলে বলে জানা যায় ।
নিহতের পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত অনুমান ১.৩০ ঘটিকার দিকে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর আগে গত শুক্রবার রাত ১১.৩০ টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের আঘাতে আহত হয়ে প্রথমে পার্শ্ববর্তি নড়াইল জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে খুলনায় নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারা যায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে দুই পরিবারের ছেলেদের মাঝে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এর থেকেই উভয় পরিবার বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে নিহত কবির ও তার ভাই আরব আলী মারাত্মক আহত হয়। এসময় তাদের সাথে তার ভাই মোস্তফা ও নিহত কবিরের ছেলেও ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহত কবিরের অবস্থা বেশি খারাপ হলে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার পরিস্থিতি বেগতিক হতে থাকে।
এঘটনায় এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঐ এলাকা পরিদর্শণ করেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ কলিম উল্লাহ,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শালিখা সার্কেল) জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোঃ ইকরাম হোসেন, তদন্ত ওসি এবিএম দোহা সহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য।
নহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা ঘটনা শুনার পরপরই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। দুই পরিবার যদি প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের শরণাপন্ন হতো তাহলে এমন ঘটনার সূত্রপাত হতোনা। এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে।এলাকায় সার্বক্ষনিক পুলিশ টহল চলছে। মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাওকে আটক করা হয় নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।