ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সেনিহাড়ি পুকুর পাড় এলাকায় মৃত মনসুর আলীর ছেলে হারুন রশীদের বাড়িতে চুরির করে পালানোর সময় পার্শ্বের চানপাড়া এলাকার মতিউর রহমান মতির ছেলে গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন (৩৬)কে আটক করে এলাবাসী।
শনিবার সন্ধ্যায় হারুন রশীদের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ আটককৃত গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক হারুন রশীদ বলেন, আমি ঢাকায় একজন এ্যাডভোকেটের ক্লাক হিসেবে কর্মরত ছিলেন শনিবার রাতে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন ঘর নির্মাণের জন্য ৫৫ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র বাড়িতে রেখে আমি আমার মায়ের ঘরে ছিলাম। আমি আমার ঘরে এসে দেখি সব কিছু এলোমেলো টর্চ লাইটের মাধ্যমে দেখি বেলাল হোসেন পালানোর চেষ্টা করে আমি চিৎকার করলে আশপাশ লোকজন সহ বেলাল হোসেনকে আটক করি।
তিনি আরও বলেন, আমি তৎক্ষনাৎ জিজ্ঞাসা করলে বেলাল হোসেন বলে আমরা চারজন আছি আপনার টাকা ও মালামাল ফেরত দিয়ে দিব।
চুরির অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন বলেন, আমি একাই ঘরে ঢুকেছি তারপর ধরে ফেলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেনকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ঘরের মধ্যে ধরে এবং আমাকে ফোনে জানানোর পরে আমি গিয়ে দেখি গ্রাম পুলিশকে আটক করেছে। পরে আমি জিজ্ঞেস করে জানতে পারি চুরির ঘটনা সত্য। তারপর পুলিশ এসে গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে যায়।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ট্রিপল নাইনের সংবাদ পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে ।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন গ্রাম পুলিশের চুরির ঘটনা শুনেছি এবং রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানার সাথে কথা বলছি অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।