নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ব্রাম্মনডাঙ্গা গ্রামের মাতবর মাহাবুর রহমান মোল্যা (৪৬) কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও বাম পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকেরা।
মাহাবুর রহমান মোল্যা এলাকার চারটি গ্রাম নিয়ে গঠিত একটি দলের মাতবর এবং ব্রাম্মনডাঙ্গা গ্রামের হারেজ মোল্যার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাম্মনডাঙ্গা, চর-ব্রাম্মনডাঙ্গা, বাড়ীভাঙ্গা ও হান্দলা গ্রামের লোকজন দুটি দলে বিভক্ত। একটি দলের নেতৃত্ব দেন মাতবর মাহাবুর রহমান মোল্যা ও নাজির মোল্যা এবং অপর দলের তাইজুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। এই চারটি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রায়ই দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগে থাকে।
মাহাবুর রহমান মোল্যা দলের অপর মাতবর নাজির মোল্যা, অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের তাইজুল, এনামুল, শিপন, জাকিরসহ ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত ব্রাম্মনডাঙ্গা বাজার এলাকায় মাতবর মাহাবুরকে ঘিরে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা,ছ্যানদা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে তার বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এসময় মাহাবুরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। জখমের প্রকৃতি গুরুতর হওয়ায় তাকে আজ (শনিবার) ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে মাহাবুরের ভাই জনি মোল্যা জানান,পঙ্গু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন জখমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার বাম পা কেটে ফেলতে হবে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।