কাজী আরেফসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার ২৩তম বার্ষিকী আজ। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতাকে হত্যা করা হয়।
নৃশংস এই হত্যা দিবস স্মরণে বুধবার বিকেল ৩টায় কাজী আরেফ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে কুষ্টিয়া পুরাতন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ শোক ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন বলেন, পলাতক আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকর চাই।
কুষ্টিয়ায় প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী সম্মিলিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বলেন, কাজী আরেফ হলেন স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তি। স্বাধীন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ছিলেন এক অনন্য নেতৃত্ব গুণাবলীর অধিকারী। কাজী আরেফ হত্যার ঘটনাটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অবিলম্বে সাজাপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার ও রায় কর্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
কাজী আরেফ আহমেদের স্ত্রী সাবেক এমপি রওশন জাহান সাথী বলেন, কাজী আরেফ হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪ জন আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। পলাতক আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
পলাতক দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মান্নান মোল্লা, জালাল উদ্দিন ওরফে বাসার, বাকের, এবং জীবন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় বক্তৃতাকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাজী আরেফসহ পাঁচ জাসদ নেতা নিহত হন। ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।