কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং “বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধু” বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

২৯ আগস্ট (সোমবার) নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলে এই আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপর্ণা দেবনাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আইকিউএসির পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের বক্তব্য সারা পৃথিবীর প্রায় সকল গণমাধ্যম কাভার করেছে। বঙ্গবন্ধুকে মানুষ বলে ক্যারিসম্যাটিক লিডার। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন সারা পৃথিবীতে।পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে বঙ্গবন্ধুর নামে রাস্তা আছে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে চেয়ার রয়েছে। আমাদের সবার উচিত এমন একজন মানুষেরই আদর্শ অনুসরণ করা।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা যদি মুজিব আদর্শে যেতে চাই তাহলে আমাদের দেখতে হবে তিনি মানুষকে কিভাবে দেখতেন। তিনি সারাজীবন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গিয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বর্জন করেছেন শুধু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পিতা বা মাতাকে যারা হারায় তাদের দেখে বুঝার উপায় নেউ যে তারা পিতা বা মাতাকে হারিয়েছেন, তারা মনের ভিতরে একটা ব্যাথায় ভুগে, ঠিক তেমনি আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে তেমন ব্যথায় ভুগছি।