বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনিরো।


তিনি বলেন, ‘দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আমি কাজ করে যাব।’ বহু প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে আজ বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য বাংলায় শুরু করেন। তিনি বাংলায় বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এই সম্পর্ককে আমি আরও গভীর করতে চাই।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ইওয়ামা কিমিনিরো বলেন, ‘নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আমি কাজ করে যাব।’ দ্রুতগতির মেট্রোরেল সেবার মধ্য দিয়ে ঢাকার চেহারা বদলে যাবে বলেও বিশ্বাস করেন জাপানের এই কূটনীতিক।

তিনি বলেন, সত্তর দশকের শুরু থেকে জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও নিরলস কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন এশিয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ।

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাংলাদেশ দেখছে তা পূর্ণতা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইওয়ামা কিমিনিরো।

তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই গর্বিত যে জাপান কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের এই ইতিবাচক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। আমি নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এই উন্নয়নের সঙ্গে চলতে চাই।’

এর আগে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইচিগুচি তামোহিদে বক্তব্যের শুরুতে বাংলায় বলেন, ‘আমি এখানে এসে অনেক খুশি হয়েছি।’

সুধী সমাবেশে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।