আপনি জাতীর বিবেক দূর্নীতির বিরুদ্ধে কলম ধরবেন, সাংঘাতিক হবেন, কারন আপনি সাংবাদিক। অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখবেন, চাঁদাবাজ হবেন।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন, হুমকি খাবেন। ধর্ষকের বিরুদ্ধে লিখবেন, রোষানলে পড়বেন। সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে লিখবেন, রাস্তায় পিস্তল ঠেকাবে নয়তো কাছের কাওকে জিম্মি করবে। পতিতার বিরুদ্ধে লিখবেন, ধর্ষণ মামলা খাবেন। কোন নেতার অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখবেন, গুম-খুন হবেন সাথে মামলা বোনাস। প্রশাসনের বিরুদ্ধে লিখবেন, সরকারি কাজে বাঁধাদানের মিথ্যা অভিযোগে মামলা খাবেন। ধর্ম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লিখবেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলায় বাঁশ খাবেন।

টেন্ডার বাণিজ্য, শিক্ষা বাণিজ্য, মাদক বাণিজ্য, যাত্রী হয়রানি, অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে লিখবেন, ভয়ভীতি, হামলা, লাঞ্ছনা, মামলাতো সাথে বোনাস থাকছেই। বলুন তো সাংবাদিকরা কি লিখবে? যাবে কোথায়? মনে রাখবেন আপনাকে ঘায়েল করার জন্য আছে এটমবোম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

মাঝে মধ্যে ভেবে পাইনা যে চলছেটা কী কীভাবে চলছে দূর্নীতি দূর্নীতি আর দূর্নীতি জনগণের পক্ষে কথা বলেও ঠাঁয় নেই উঁচু সমাজে কিন্তু কেন? আসলে উঁচু সমাজের মানুষ গুলোই বেশি দূর্নীতিবাজ শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য।

এত কিছুর পরেও সাংবাদিকের কলম থেমে নেই। শত বাঁধা আসে সামনেও আসবে কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিকের কলম থামে না- থামবে না। আর যার কলম দূর্নীতিবাজদের ভয়ে থেমে যাবে, তাকে সাংবাদিকতার কলম ফেলে দিতে হবে। সাংবাদিক কারও ভয়ে তার লেখা বন্ধ করে না। সত্যের পক্ষে, সাংবাদিকের কলম চলবেই।