পুলিশের পরিচয় ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।এসব ভুয়া পুলিশের হাতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর ফলে পুলিশের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের পরিচয় বুঝতে না পেরে সর্বস্বান্ত হয়ে ঢালাও ভাবে পুলিশবাহিনীর প্রতি অশ্রদ্ধা বাড়ছে ভুক্তভোগীদের। তাই এই চক্রের অপতৎপরতা ঠেকাতে কঠোর ভূমিকায় নেমেছে পুলিশ। একইসঙ্গে জনগণকে এদের ব্যাপারে সচেতন হওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের পক্ষ থেকে। কিন্তু, কীভাবে চেনা যাবে এসব ভুয়া পুলিশকে?
এ বিষয়ে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কথা জানিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
এগুলো হলো-
১. ব্যবহৃত ওয়াকিটকি চালু আছে কিনা লক্ষ্য করুন। ভুয়া পুলিশ সদস্যদের ওয়াকিটকি কখনও চালু থাকে না এবং কোন শব্দও পাওয়া যায় না। কারণ সেটি খেলনা ওয়াকিটকি।
২. সাদা পোশাকে পুলিশ কোনও অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই গায়ে জ্যাকেট পরিধান করে ও গলায় পরিচয়পত্র ঝোলানো থাকে।কিন্তু ভুয়া পুলিশ সদস্যরা বেশিরভাগ সময় কোনও ধরনের জ্যাকেট বা পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখে না।
৩. ভুয়া পুলিশ চক্র সবসময় খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে, তারা কখনোই লং আর্মস: যেমন শর্টগান বা এসএমজি সঙ্গে রাখে না। ৪. গতিবিধি ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন। ভুয়া পুলিশ সদস্যরা বাসায় ঢুকেই টাকা, অলঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের আচরণে উগ্রতা ও রুক্ষভাব পরিলক্ষিত হয়।
৫. এই চক্রের সদস্যদের পারস্পারিক কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করুন।
এরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং চোর ডাকাতের মতো আচরণ করতে থাকে। ভুয়া পুলিশ দেখলে করণীয় ভুয়া পুলিশের ঝামেলায় পড়লে বা মুখোমুখি হলে কৌশলে নিকটস্থ থানা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করুন। যদি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় যে এরা ভুয়া পুলিশ সদস্য এবং ব্যবহৃত অস্ত্রটিও খেলনা তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে তাদেরকে প্রতিহত করুন ও পুলিশকে খবর দিন এবং আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে অবহিত করুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।