বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: একজন আদর্শ গৃহিনী হওয়ার পরও যে, সমাজের প্রতিটি উন্নয়ন কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন, তাকে না দেখলে তা বোঝায় যাবেনা।

ব্রয়লার মুরগির খামার করে এলাকার মানুষের কাছে সে বেশ জনপ্রিয়। তিনি করোনার মহামারীর সময় একটি ব্রয়লার মুরগির খামার গড়ে তোলেন।

পরে ২০২১ সালে ১ হাজার ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি ব্রয়লার মুরগির খামার। প্রথম দিকে অল্প পরিসরে শুরু করলেও এখন তাঁর খামারে রয়েছে ১৫শ ব্রয়লার মুরগি।

এতে তিনি মাসে আয় করছেন ৭০ হাজার টাকার উপরে। এমনটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহর টাটকপুর বেলডাঙ্গা মহল্লাতে। দিলরুবা বেগম পৌর শহরের টাটকপুর বেলডাঙ্গার আনিছুর রহমানের স্ত্রী। দিলরুবা বেগম ব্রয়লার মুরগি পালন করে এলাকায় ব্যাপক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সবার কাছে অনুকরণীয়।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে তাঁর খামারে রয়েছে ১৫শ ব্রয়লার মুরগি। এসব ব্রয়লার মুরগি বাচ্চা বিজলী ডিলার বিরামপুরের মাধ্যমে ৩৫ টাকা দরে একদিনের ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কিনে নিয়ে আসেন। আর এসব ছোট ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা গুলোকে খাওয়ানো হয় ফিট ও পানি।

খামারে টানা ৩২ থেকে ৪৫ দিন পালন করার পর এসব ব্রয়লার মুরগি বাজারজাত করার উপযোগী হয়। প্রত্যেকটি ব্রয়লার মুরগি প্রায় ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায় তাঁর বাড়ি থেকে।

দিলরুবা বেগম বলেন, কৃষিকাজ ও মুরগি পালন করতে আমার কাছে ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ভালো লাগতো। তাই মহামারী করোনায় দীর্ঘসময় বাড়িতে বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে ব্রয়লার মুরগির খামার গড়ে তুলি।

পরে খামারটি আরো বড় করি। এখন আলহামদুল্লিাহ আমার খামারে ১৫শ ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। অল্প সময়েই সফলতা অর্জন করেছি।

আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আশা করছি আগামী দিনে এর চেয়ে আরো বড় পরিসরে আমি মুরগির খামার করবো। ব্রয়লার মুরগির খামারের দিলরুবা বেগমের সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন এই মুরগি খামার করতে শুরু করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এআরএম আল মামুন বলেন, একজন আদর্শ গৃহিনী হওয়ার পরও ঘরের কাজের পাশাপাশি মুরগির খামার করে একজন আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভের পাশাপাশি মাংসের চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়েও ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে দিলরুবা বেগম।

তিনি আরো বলেন, আমরা উপজেলার খামারীদেরকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানসহ সবধরণের পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছি।