মোঃ ইসমাইল আহমেদ দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার। যিনি অধ্যবসায় ও সততার সাথে গোড়া থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ইসমাইল ভ্যারাইটিজ স্টোরের প্রতিষ্ঠাতা।
মেধাবী আত্মবিশ্বাসী উদ্যোক্তা মোঃ ইসমাইল আহমেদ ০৩ আগস্ট ২০০২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নূর মোহাম্মদ ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলার একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি ব্যবসায়িক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন এবং ২০১৮ সালে তিনি ‘ইসমাইল ভ্যারাইটিজ স্টোর’ স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি এসব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জীবনে সফল হতে মোঃ ইসমাইল আহমেদকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে যেতে হয়নি। এক ভাই ও এক বোন ও বাবা-মা নিয়ে তাদের সংসার ছিল। পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের দেখভাল করার জন্য ইসমাইলের চাপ ছিল। ছেলে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর এই আশায় দিন গুনছেন অভিভাবকরা। কিন্তু আপনি যদি আরও ভালো চাকরি পেতে চান! চোখের সামনে দেখে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছেন না। ফলে ইসমাইল চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্স শুরু করেন। শুরুতে লোকসান বহুগুণ বেড়ে গেলেও সেই ছেলেই আজকের সফল উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার মোঃ ইসমাইল আহমেদ।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। যত দিন যায়, শুধু এগিয়ে যায়। ফ্রিল্যান্সারের পরিধি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত ইসমাইল ভ্যারাইটিজ স্টোরে বর্তমানে প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। গত বছর ইসমাইল ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে আড়াই কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগামী বছর রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানেই থামতে চান না মোঃ ইসমাইল আহমেদ।
২০২১ সালে তিনি তার প্রথম সঙ্গীত প্রকাশ করেন। তিনি বলেছিলেন আপনি চেষ্টা করলে সবকিছু সম্ভব। তাই তিনি থেমে নেই, প্রতিবারই সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন মোঃ ইসমাইল আহমেদ। বর্তমানে তার ইউটিউব চ্যানেলটি শিল্পী হিসেবে ইউটিউব টিম সংরক্ষণ করেছে। তিনি সব সময় সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।