দিনাজপুরের খানসামায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান’ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে কৃষি বিভাগ।
অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির উঠান বা আঙ্গিনায় ব্যক্তি উদ্যোগে কৃষকরা বাড়ির উঠান ও বাড়ির পাশে সবজি চাষে ঝুঁকছে। এ
তে করে একদিকে পাওয়া যাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টির, অন্যদিকে সবজি বিক্রি করে সচ্ছল হচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে শতাধিক পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনী পর্যায়ক্রমে স্থাপন করার কাজ চলছে।
এরই মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে ১১৪টি পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের সবজির বীজ, সার, ফলের চারা, নেট, বীজ সংরক্ষণের পত্র, বাগানে পানি দেওয়ার ঝাঁজরিসহ অন্য সব উপকরণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।
পরিত্যক্ত জমিতে কৃষকরা মৌসুমের শুরুতে মুলা, লালশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, লাউ, পালংশাক, শিম, ডাটা, ধনিয়া ও কলমি শাকসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করছেন। সরকারের বিনামূল্যে সবজি বীজ দিয়ে কৃষকরা সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ সহ বক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন।
ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, কৃষি অফিস থেকে সার, নেট, ফলের চারা ও নানা প্রকারের সবজি বীজ তিন মৌসুমের জন্য আমাকে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শে আমি বাড়ির উঠানে ফাঁকা জায়গায় এই বাগান তৈরি করেছি। এই বাগান থেকে আমার নিজের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করে আশে পাশের মানুষকে শাকসবজি বিতরণ করেছি। এর পরও বাকি সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি টাকাও আয় করেছি।
কৃষাণি সুলতানা বেগম বলেন, আমার বাড়ির পাশে একটু জায়গা অনেক দিন ধরে পতিত ছিল। সেই পতিত জায়গায় আমি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সবজির বাগান করেছি।
এই বাগান করার পর থেকে আমি বাজার থেকে কোন শাক সবজি কিনি নাই। বরং অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করেছি। আমার সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় বাজারে চাহিদাও অনেক বেশি রয়েছে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৫৩ টি বাগান স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে ১১৪টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে বাকি বাগানগুলো স্থাপন করা হবে। মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কৃষদের এসব বাগান স্থাপন ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সব সময় সহযোগিতা করছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।