কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে করোনা নির্দেশনা না মানায় মণিরামপুরে সাত দোকানিকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দিনভর ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান ও এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ অভিযান চালিয়ে এই দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার শ্যামকুড় বাজারের কাপড় দোকানি রিফাত হোসেন ৫০০ টাকা, দূর্বাডাঙা বাজারের কাপড় দোকানি আশরাফুল ইসলাম ৫০০ টাকা, মণিরামপুর বাজারের মুদি দোকানি আব্বাস উদ্দিন ২০০ টাকা, হাসান বিশ্বাস ২০০ টাকা, রাজু হোসেন ২০০ টাকা, মাছ বিক্রেতা আল আমিন ৫০০ টাকা ও জহির উদ্দিন ২০০ টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম ও ফাহিম আল মোমেন জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জরিমানার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিকেলে মণিরামপুর বাজারে করোনা প্রতিরোধে সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হ্যান্ডমাইকে সচেতনমূলক প্রচারণা চালান এসিল্যান্ড পলাশ দেবনাথ। নির্ধারিত সময়ের পরে দোকান খোলা রাখায় এসময় তিনি পাঁচ দোকানিকে জরিমানা করেন।
আগের সপ্তাহের তুলনায় গত দুইদিন মণিরামপুরে অধিকাংশ মানুষকে লকডাউন মেনে ঘরে থাকতে দেখা গেছে। প্রয়োজনে লোকজন বাইরে বেরুলেও অন্যদিনের তুলনায় সেটা একেবারেই কম। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মণিরামপুর বাজারের রাস্তায় ট্রাকসহ ভ্যান ইজিবাইক মোটামুটি চলতে দেখা গেলেও কাঁচাবাজার, মাছবাজার ও মুদিখানার দোকানগুলোতে ক্রেতাসমাগম ছিল অন্যদিনের তুলনায় কম। বাজারের কাপড় ও গার্মেন্টস পট্টিতে দোকানদারদের বন্ধ দোকানের সামনে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। তবে পৌরশহরের তুলনায় উপজেলার অন্য বাজারগুলোতে লকডাউন কার্যকর হয়েছে বেশি। বন্ধ ছিল চা দোকান। সকাল বেলায় দুই একজন দোকান খুললেও সেটা ছিল অল্প সময়ের জন্য। এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে গত দুইদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে ছিল উপজেলা প্রশাসন, এসিল্যান্ডসহ থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।