জেমস রহিম রানা: যশোরে গরু- হাঁস-মুরগির খাবারে কৃত্রিম রং মিশিয়ে হলুদ গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া তৈরি করার সময়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

রোববার দুপুরে যশোর ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিকাইল হোসেনের নেতৃত্বে যশোরের র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা যশোর ঝুমঝুমপুর নীলগঞ্জ শ্মশান পাড়া এলাকার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৫৯) ও দিলীপ অধিকারীর (৫৮) মরিচের গুঁড়া ও হলুদের গুঁড়া মিলে অভিযান পরিচালনা করে এ টাকা আদায় করেন।

এসময়ে প্রত্যক্ষভাবে মিলের ভিতরে গরু- হাঁস-মুরগির খাবার গুঁড়ো করে তাতে বিভিন্ন ধরনের রং ও কেমিকাল দিয়ে হলুদের গুঁড়ো ও মরিচের গুঁড়ো তৈরি করতে দেখতে পান। এ অনৈতিক কার্যাবলীর জন্য মিলের মালিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও দিলীপ অধিকারী (৫৮)কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিকাইল হোসেন।

অভিযানিক দলটির এ সময়ে মিল থেকে ২০০ কেজি মাছের খাবার ও ৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার রং ও জব্দ করেন। জরিমানাকৃত টাকা চালান মোতাবেক সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে এবং জব্দকৃত মাছের খাবার ও ৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার রং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে।

অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস যশোর বেজপাড়া এলাকার মৃত চান্দপদ বিশ্বাসের ছেলে ও দিলীপ অধিকারী (৫৮) যশোর বারান্দী মোল্যা পাড়া এলাকার মৃত শ্রীতল চন্দ্র অধিকারীর ছেলে।

যশোর র‌্যাব-৬, এর কোম্পানি লেঃ কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি নীলগঞ্জ শ্মশান পাড়া এলাকায় হলুদ মরিচের গুড়ার মিলে মাছের-হাঁস-মুরগির ও গরুর খাবার মেশিনে গরু তার সাথে রং মিশিয়ে মরিচের গুঁড়া ও হলুদের গুঁড়া তৈরি করছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট কে অবগত করি।

একপর্যায়ে রোববার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বেলা পৌনে দুইটা পর্যন্ত যশোর ঝুমঝুমপুর নীলগঞ্জ শ্মশান পাড়া এলাকার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও দিলীপ অধিকারীর ওই মিলে অভিযান চালিয়ে প্রত্যক্ষ ভাবে দেখা যায় গরুর খাবার ও হাঁস মুরগির খাবার মেশিনে পায়েল করে তাতে বিভিন্ন ধরনের রং ও কেমিকাল মিশিয়ে হলুদের গুড়া ও মরিচের গুঁড়া তৈরি করছে।

এসব অনৈতিক কাজের অপরাধে মিলের মালিক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও দিলীপ অধিকারী কে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর পরও যদি ওই মিলে এ ধরনের ভেজাল খাদ্য তৈরি করে তাহলে মিল বন্ধ করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।