স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় ৭বছর আগে খুন হওয়া ব্যক্তিকে আটক করেন ফুঁলবাড়ি ফারি থানা পুলিশ। জানা যায় ৭ বছর আগের খুন হওয়া ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় ফেরত এসেছে এলাকায়। গত ৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে শহরের ১৯ নং ওয়ার্ডে মানিকচক বন্দর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ২০১৫ সালে জানুয়ারি মাসের উত্তর চেলোপাড়া এলাকার যুবক শামিম (৩২) এর মা ঝর্ণা বেগম বগুড়া সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি জানান তার ছেলের বন্ধু মানিকচক এলাকার আইজার (৩১) সাইকেল ও মোবাইল ফোন পাওয়ার জন্য শামিমকে অপহরণ করেছে।
পরে ওই মামলার প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ আইজারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি নেয় ও একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দেয়। এ অবস্থায় অভিযুক্ত আইজার প্রায় ৪ মাস কারাভোগ করে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হন। মামলার চলার দীর্ঘ ৭ বছরে আইজার বিভিন্ন সময় আদালতে হাজিরা দিতে থাকেন। গত ৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে মানিকচক এলাকার ১৯ নাম্বার ওয়ার্ড কমিশনার লুৎফর রহমান মিন্টু করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা দেন।
ওই অনুষ্ঠানে ৭বছর আগে খুন হওয়ার অভিযোগ উঠা শামিমকে দেখতে পান অভিযুক্ত আইজারের বড় ভাই ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুস। এরপর তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কথিত খুন হওয়া শামিমকে আটক করে রাখেন। শামিম কৌশলে তার সাইকেল রেখে সেখান থেকে পালিয়ে ফুলঁবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতা নেন ও সাইকেল উদ্ধারের জন্য তাদের নিয়ে মানিকচকে আসেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করলে পুলিশ শামিমকে আটক করে ফুঁলবাড়ি ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
কথিত শামিম হত্যা মামলার অভিযুক্ত আইজার দৈনিক কলম কথা.সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী কে বলেন, ‘আমি শামিমের কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা, সাইকেল ও মোবাইল ফোন পেতাম। ২০১৫ সালে তার কাছ থেকে আমার পাওনা চাওয়ায় সে দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে যায়।’ ‘এরপর শামিমের পরিবার আমাকে হত্যা মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করে। পরে এসআই সাইফুল আমাকে রিমান্ডে নিয়ে মারধর করে শিখিয়ে দেয় আমি যেন বলি শামিমকে খুন করে অজ্ঞাত জায়গায় পুঁতে রেখেছি ও তার কংকাল পরে পানিতে ভাঁসিয়ে দিয়েছি।’ আইজার আরও বলেন, ‘এই সাত বছরে আমার সম্মানহানি সহ প্রায় ৫লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’ফুঁলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সুজন মিয়া জানান, আমরা এরকম একটি ঘটনায় শামিম নামের যুবককে হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় হস্তান্তর করেছি