ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত শ্রী শ্যামল শীল এর ৮ম সন্তান।

তারা মোট ৮ ভাইবোন।যার মধ্যে ৩ ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধি হয়ে জন্ম।নেয়।৩ ভায়ের মধ্যে ২ ভাই দীর্ঘদিন প্রতিবন্ধি অবস্থায় থাকার কারণে তার বাবার পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।তার দুই ভাই জন্মের কিছুদিন পরেই মারা যায়।এখন শুধুই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন প্রতিবন্ধি পার্থ শীল।তার বাবা পেশায় একজন নাপিত ছিলেন।তার ৫ মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে তিনি সর্বহারা হয়েছেন।২ বছর আগে পার্থশীল তার পিতাকে হারিয়েছে।এখন শুধুই পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যাক্তি তার মা।

 

শিশু পার্থশীল এর পা থেকেও নেই। দু’টি হাতের আংগুলের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করছে। এই প্রতিবন্ধী পার্থশীল বড় সমস্যা হল তার একটি হুইল চেয়ার নেই। সে মিনি মিনি কন্ঠে বলল তার একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের মৃত শ্যামল শীলের ছেলে পার্থশীল।জন্ম থেকেই পার্থশীল শারীরিক প্রতিবন্ধী। দু’টি পা-ই তার নষ্ট। পা দু’টি দিয়ে কোনো ভাবেই হাটা চলা করতে পারে না। পায়ের অধিকাংশই বাঁকা ও মোড়ানো। হুইল চেয়ার না থাকায় হাতের আঙ্গুলের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে যায় সে। চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় তার। মাটি ঘেঁষে চলাচল করতে করতে তার হাতে পায়ে ফোসকা পড়েছে। হতাশা চোখমুখে নিয়ে বলল ছবি তুলেন কেন? আগে কত বার ছবি উঠেছি একটা হুইল চেয়ারও পাইনি। হুইল চেয়ার হলে কিছুটা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারতাম। আমার একটি হুইল চেয়ার দিবেন কি?

 

প্রতিবেশী আব্দুল বাসির বলেন, পার্থশীল গরীব পরিবারের ছেলে।তার বাবা গত দুই বছর আগে মারা যায়। এর পরে তাদের পরিবার নিঃস হয়ে পড়ে।ওর দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। কত কষ্ট করে চলাচল করে ওই প্রতিবন্ধি ছেলেটি। তার একটি হুইল চেয়ার দরকার।

 

পার্থশীল এর মা শ্রী সন্ধ্যা রানী বলেন, বাড়িভিটা ছাড়া কোনো জমি নাই। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে পেটের ভাত জোটে না। বয়স বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন কাজ করতে পারিনা। কিভাবে হুইল চেয়ার কিনে দেই।পার্থশীল জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। হাটতে পারে না। একটি হুইল চেয়ার না থাকায় খুব কষ্ট করে তাকে চলাচল করতে হয়। তাই আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটির জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে একটি হুইল চেয়ারের মানবিক আবেদন করেও আজও তার ভাগ্যে মেলেনি হুইল চেয়ার।