মা এবং পরিবারের মহিলাদের থেকে শুধু একটা হুশহাশ-চুপচাপ আমেজ পেয়েছি, যেন ভয়ংকর এক বিপদ এসে ভর করেছে আমার শরীরে। এটা কেন হচ্ছে, ওটা কেন হচ্ছে আমার- এই প্রশ্নগুলো করতেই ভয় লাগত। কেউ কাছে ডেকে বলেনি, “আম্মু, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যপার, এই এই বায়োলজিক্যাল কারণে তোমার শরীরে এখন এই এই পরিবর্তন হচ্ছে। বিব্রত হবার কিচ্ছু নেই!”

দ্যা বার্ডস এন্ড দ্যা বিস’ টক? সে আবার কি বস্তু রে ভাই? বাবা-মা একসঙ্গে বসে সন্তানের সাথে সেক্স এবং সেক্সুয়ালিটির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন- এ যে আমাদের সংস্কৃতিতে নেই। ক্লাসভর্তি উথাল-পাথাল মন ও শরীরের টিনেজারদের নিয়ে টিচাররা ক্লাস করিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ক্লাস শেষে দশটা মিনিট এক্সট্রা সময় নিয়ে পিউবারটি নিয়ে কথা বলেননি বা আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেননি। “ওরা ছোটমানুষ, কিছু বুঝবে না”- এই আশ্চর্যরকম খোঁড়া যুক্তিতে বড়রা পিউবারটির বায়োকেমিক্যাল বা মানসিক দিকগুলো নিয়ে গুছিয়ে পরিষ্কার করে টিনেজারদের সাথে কথা বলেননা। এই সময়টাতে সেক্স এডুকেশন খুব দরকার, এই দরকারকে আমি আজ পর্যন্ত খুব কম স্বদেশী “শ্রদ্ধেয়দের” প্রকাশ্যে স্বীকার করতে ও তা নিয়ে সোচ্চার হতে দেখেছি। কিন্তু এই আক্ষেপ নিয়ে বসে থেকে লাভ নেই; ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমি যা ফেস করেছি তার থেকে ১০০গুণ বেটার কিছু দেবার চেষ্টা করে যেতেই হবে।