‘পানি’ এবং ‘চা’ এর পরেই বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি পান করা পানীয় হলো ‘কফি’। প্রতিদিন সারা বিশ্বের মানুষ গড়ে ২২৫ কোটি কাপ কফি পান করেন। শরীর চাঙা করতে কফির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
সকাল বেলা গরম ধোয়া ওঠা এক কাপ কফিতে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করলে শরীর ও মনে একটা সতেজ ভাব আসে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, কফির কাপ ধরাতেও সঠিক নিয়ম রয়েছে?
যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য শিষ্টাচার বিশেষজ্ঞ মাইকা মেয়ারের মতে, চা এবং কফির কাপ ধরার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কফির কাপ চায়ের কাপের তুলনায় বড় ও ভারি এবং বেশি তরল ধারণের উপযোগী হয়ে থাকে। তাই কফির কাপ ধরায় নির্দিষ্ট শিষ্টাচার রয়েছে।
শুধু সূক্ষ্ম ও সাবধানে কফির কাপ ধরলেই হয় না, বরং সঠিক কৌশল অনেক বেশি যত্ন সহকারে কফির কাফ ধরায় ভদ্রতা বোঝায়।
প্রথমে দেখে নিন কফির কাপ ধরার কিছু ভুল পদ্ধতি।
এবার দেখে নিন, সঠিক পদ্ধতি। প্রথমে তর্জনী বাঁকিয়ে কাপের হ্যান্ডেল ধরুন। এরপর হ্যান্ডেলের ওপর বৃদ্ধাঙুল রাখুন। বাকি ৩টি আঙুল হাতের করতলে গুজে রাখুন।
খুবই সহজ কৌশল। সুতরাং পরবর্তীতে কফি পানের সময় কাপ এভাবেই ধরুন। এটি হলো কফি পানের সময় কাপ ধরার সঠিক নিয়ম। তবে হাঁটাচলা করার সময় কফির কাপ এভাবে ধরলে তা কিন্তু আবার ভুল পদ্ধতি! হাঁটাচলা করার সময় কফির কাপ ধরার বিজ্ঞানসম্মত সঠিক পদ্ধতি রয়েছে।
দীর্ঘ গবেষণার পর সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। কেটলি থেকে কাপে বা মগে কফি নিয়ে আপনি যখন ডেস্কে ফিরছেন কিংবা কফি শপ থেকে কফির কাপ হাতে বের হচ্ছেন, তখন কাপ ধরতে হবে সঠিক নিয়মে।
বিজ্ঞানীদের মতে, হাঁটাচলার সময় সঠিক পদ্ধতিতে কাপ না ধরলে গরম কফি ছিটকে শরীরে পরার ঝুঁকি থাকে। কাপের চারপাশ ধরা কিংবা হ্যান্ডেল ধরাটা ভুল পদ্ধতি। এ ধরনের ভুল পদ্ধতিতে কাপ ধরার ফলে কাপে শক্তি প্রয়োগ হয়, যা গরম পানীয়টিতে কাপের ভেতরে হিট করে ও ছিটকে পরার আশঙ্কা থাকে।
কাপ ধরার নানা পরীক্ষা শেষে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, হাঁটাচলার সময় কফির কাপ/মগ ধরার নিরাপদ পদ্ধতি হলো- হাত ওপরে রেখে কাপ ধরতে হবে। নিচের ছবিতে দেখুন-
তথ্যসূত্র: কসমোপলিটন, মেট্রো
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।