টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের জাহাজ চলাচল শুরু হতে না হতেই স্থানীয়দের নানান রকম হয়রানির অভিযোগ।
সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের জাহাজ চলাচল শুরু হতে না হতেই স্থানীয়দের নানান রকম হয়রানির অভিযোগ জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন রুটের দ্বীপবাসী
ঘাটে টিকিটের জন্য গেলে টিকিট নেই, টিকিট শেষ, পরে দিচ্ছি, ওভারলোড নিষেধ আছে ইত্যাদি নানান কথা বলে দ্বীপবাসীকে অধিকার বঞ্চিত করছে কিছু অসাধু লোক। আর এটার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী গরীব মানুষ ও মহিলারা।
দ্বীপবাসীকে মুখ দেখে টিকিট দেওয়া হয়, প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি দেখে টিকিট দেওয়া আর সাধারণ মানুষকে টিকিট নেই বলে দাম বেশি দিয়ে পর্যটকদের সব টিকিট বিক্রি করে দেওয়া অত্যন্ত অন্যায় ও জঘন্য অপরাধ।
দ্বীপ নিয়ে ব্যবসা করবেন আর দ্বীপের মানুষের অধিকার হরণ করবেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক ব্যবসায় দ্বীপের মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট প্রাপ্তি এটা অধিকার বা প্রাপ্য, কোন করুণা বা দয়াদাক্ষিণ্য নয়।
যখন ট্যুরিজম বন্ধের আয়োজন চলে তখন তো ব্যবসায়ীরা অদৃশ্য হয়ে যান, দ্বীপবাসী নিজেরাই আন্দোলন করে। আপনাদের ব্যবসার সুযোগ করে দেয়। এখন কেন অন্যায় করেন?
এই দ্বীপের কিছু নেতা, প্রতিনিধি ও প্রভাবশালী মানুষ আছে। যাঁদের জন্মগত লোভ, ছ্যাঁচড়ামি আর অহংকার বিদ্যমান। যথেষ্ট নাদানও বটে! একটু সম্মান পেলে দুনিয়া চোখে দেখে না। আর যদি একটু আধটু সুযোগ পায় তাহলে জগৎ ভূলে যায়। মানুষের অধিকারে তাদের কিচ্ছু যায় আসে না, নিজেরা ফ্রি টিকিট পাইলে তো হলো
এখন তাদের একটাই দাবি।
দ্বীপবাসীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতি জাহাজে ২০ টি করে আসন বরাদ্দ করতে হবে এবং নামমাত্র মূল্যে দিতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।