লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননি সাবেক চাচি (৩০) ভাতিজার বাড়িতে এক দিন ধরে অনশন করছেন। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাড়িতে চাচিকে দেখতে মানুষের ভিড় জমান।

গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের জাকিরুল ইসলামের বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী। জাকিরুল ইসলাম (৩০) উপজেলার পশ্চিম সারডুবী গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে। তিনি রং মিস্ত্রির কাজ করেন।

জানা গেছে, উপজেলার বড়খাতার পশ্চিম সারডুবী গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে তিন সন্তানের জনক জাকিরুল ইসলাম তার আপন চাচি রুমা বেগমের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানাজানি হলে, গত ১১ আগস্ট চাচা রশিদুল ইসলাম ও চাচি রুমার মধ্যে বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটে।

বিচ্ছেদের ১২ দিন পর দুই সন্তানের জননি চাচি বিয়ের দাবিতে ভাতিজা তিন সন্তানের জনক জাকিরুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় ভাতিজা জাকিরুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে চাচি রুমা বেগম অভিযোগ করে জানান, ‘গত চার বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক । বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে এবং বাহিরে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিয়ে করবেন বলে গত মঙ্গলবার আমাকে বাড়িতে আসতে বলছে তাই আমি বাড়িতে চলে এসেছি। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি তো তার আপন চাচি না। এখন তার চাচাকে ডিভোর্স করেছি। তাকেই বিয়ে করব।’ এ বিষয়ে ওই নারীর বাবা জানান, ‘আমার মেয়ের ওপরেই সবকিছুই। মেয়ে জানিয়েছেন ওই ছেলে কোরআন নিয়ে শপথ করেছেন তাকে বিয়ে করবেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকিরুল ইসলামের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে ০১৭৯৩…৯৫ নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল জানান, ‘বিষয়টি পশ্চিম সারডুবী গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাবলু’র মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, ‘এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি।’