গ্রামে আজ যারা বড় বিল্ডিং করছেন তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অতীতকে ভুলে গেলেন ! এই সেই মাটির ঘর, যেখানে বাস করছে আমাদের পুর্বপুরুষেরা । বেশিদিনের কথা না আজ থেকে ১৫ কিংবা ২০ বছর আগে গ্রামে অধিকাংশ লোকের বাড়ি ছিল মাটির তৈরি ।

এই মাটির ঘরে আমাদের বাপ দাদা নানা নাণী এমনকি তাদের বাপ দাদারা ও এই মাটির ঘরে বসবাস করে জীবন কাটিয়েছেন । তখনকার সময় লোকজনের অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী । অভাব থাকলেও সুখ শান্তিতে তাদের দিনগুলো অতিবাহিত হত ।

kkhc

সারাদিনের কর্ম ব্যাস্ততা শেষ করে মাটির কামরাতে আরামের ঘুম । আর এই মাটির ঘরের ছাউনি খড় দিয়ে তৈরি করা হত । বৃষ্টি হলে ফোটা ফোটা করে পানি পড়ত বারান্দায় কিংবা ঘরের ভিতরে ।

মাটির ঘরকে উজ্জল রাখার জন্য বাহারি নকশা করে মহিলারা ১০/১৫ দিন পরপর মাটির লেপ্টে দিত। এ যেন এক অদ্ভূত দৃশ্য আমাদের চোখে পড়ত । বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোতে গ্রামের মহিলাদের ঘর বারান্দা লেপার প্রতিযোগিতা শুরু হত।

সুতরাং আমাদের পুর্বপুরুষদের হাজারো সালাম জানাই তাদের জন্ম না হলে আমাদের জন্মটা কখনো সম্ভব ছিল না।

আজ সমাজের অনেক লোকজন আছে তাদের অতীতকে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে । তাহলে আমি কি শিক্ষা অর্জন করলাম । অনেকে বলে এখন বিল্ডিং না থাকলে সমাজের লোকজনের সামনে পরিচয় দেয়া যায়না।

এটা আপনার ভুল কথা কারন আমার আপনার বাপ দাদারা কোথায় বসবাস করত এবং তাদের পেশা কি ছিল ! আমি মনে করি যারা অতীতের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে না । তাদের শিক্ষার অভাব রয়েছে ।

আমাদের পুর্বপুরুষেরা জীবনে অনেক কষ্ট সংগ্রাম করেছেন এবং বিলাসবহুল জীবন উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদেরকে আমরা সেলুট জানাই । সৃষ্টি কর্তা সকলকে জান্নাতবাসী করুক । আমিন ।

মো: তাছাব্বুর রহমান
বাজিতপুর, মনিরামপুর, যশোর ।
ছবি সংগ্রহ : বাজিতপুর