মোহাম্মদ জুবাইর চট্রগ্রাম।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ সকলে নগরীর কদমতলী মোড় থেকে ডিটি লেইন হয়ে আগ্রাবাদ রশিদ বিল্ডিং পর্যন্ত ফুটপাতের উপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সকল অননুমোদিত স্থাপনা, কাঠের স্ল্যাব, লোহার স্ক্র্যাপসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল নিজ উদ্যোগে সোমবারের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে মালামাল জব্দ জরিমানাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।


তিনি বলেন, বড় বড় নালাগুলোর অননুমোদিত স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটায় এলাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বড় পরিণতি হলো ময়লা-আবর্জনায় অবরুদ্ধ নালা-নর্দমাগুলো মশা প্রজননের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ায়।


তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, চট্টগ্রাম নগরীতে বাস করতে হলে আইন মানতে হবে। অননুমোদিত কোন স্থাপনা থাকবে না। অবৈধ দখলদারিত্ব থাকবে না। এক জনের বে-আইনী সুযোগ-সুবিধার জন্য দশজনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। এই নগরীতে এ ধরণের অনৈতিক ও জনস্বার্থ বিরোধী কোন অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটি কয়েক লোভী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক এই নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসীকে জিম্মি করতে চায়। এরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তারা সমাজের বিষফোঁরা। এদের অস্ত্রোপচার করে উপড়ে না ফেললে সমাজদেহে ব্যাধি আক্রান্ত হবে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে উন্নীত করতে যে বাঁধা, ক্ষত ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে দিচ্ছি, যাতে আগামীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা চট্টগ্রামের কাংখিত উন্নয়ণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য এমন কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যেগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর আশে-পাশে কয়েকটি উপশহর ও শিল্পজোন গড়ে উঠবে। তাই যে ভাবেই হোক চট্টগ্রামের সড়ক অবকাঠামোসহ প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। প্রশাসক করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনসাধারনকে মাস্ক পরার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মাস্ক ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার আহবান জানান। তিনি যাত্রাপথে উপস্থিত নগরবাসীর মাঝে মাস্ক এবং সাবানও বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন-সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আলী বক্স, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতি. প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এষ্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, মো. মনির উদ্দিন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, আলী আকবর প্রমুখ।
আজ উচ্ছেদ অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত ৮টি মামলা রুজু করেন এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।