রোমান আহমেদ|গাজীপুর প্রতিনিধি: জোর জবরদস্তি ও ভয়ভিতি দেখিয়ে কৌশলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি শিল্পোন্নত গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা বহেরারচালা গ্রামের। কেওয়া মৌজার অতি মূল্যবান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বহেরাচালা গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান রুবেলের পৈতৃক ৪০ শতাংশ প্রায় ৩কোটি টাকার জমি লিখে নেয় স্থানীয় প্রতারকরা। সাংবাদিকদের কাছে জমিদাতা মাহমুদুল হাসান রুবেলের উপস্থিতিতে তার ভাই কামাল বোন হাসনারা খাতুন ও বোন জামাই লোকমান হোসেন এ অভিযোগ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় বাবা-মা হারা রুবেল ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে সবার ছোট, পাশাপাশি ছোটকাল থেকেই রুবেল এলাকায় অতি সাধারণ ও সহজ সরল হিসেবে পরিচিত। অতি সরলতার কারণে লেখাপড়াও করা হয়নি তেমন এরই মাঝে ২০১৬ সালে পরিপাকতন্ত্রে অপারেশন করা হয় রুবেলের সেই থেকে তিনি আরো বেশী পরনির্ভর বা ঘরমুখো হয়ে যান। বিনা প্রয়োজনে এদিক সেদিক যাতায়াতও করেন না তিনি। বড় ভাইবোনদের সহযোগিতায় বাড়ী ভাড়ার অর্থে মোটামুটি ভালভাবেই সংসার চলছিল তিন ছেলের জনক রুবেলের।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পিতা আব্দুল রাজ্জাকের মৃত্যু আগে তার সব সম্পত্তি তার সন্তানদের মাঝে ভন্টন করে যান। সেই থেকে যারযার ভাগের পৈতৃক সম্পত্তি তারা ভোগ করছে শান্তিপূর্ণ ভাবে এমতাবস্থায় সবার সবকিছু ঠিক থাকলেও একমাত্র সহজ সরল রুবেল এর জমির উপর কুদৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের। আত্মহত্যা চেস্টার দুইদিন পূর্বেও রুবেল স্বাভাবিক ছিলেন। তবে কৌশলে প্রায় তিনকোটি টাকার মূল্যবান ৪০ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই অস্বাভাবিক হয়ে পরেন মাহমুদুল হাসান রুবেল। জমি লিখে নেওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকালে প্রথমে একবার সিলিং ফেনে রশি বেধে আত্মহত্যার চেস্টা করলে স্থানীয় দোকানদার ফাইজুদ্দিনের বউ আমেনা দেখে ফেলার পর দ্বিতীয়বার কারেন্টে শট নিয়ে আত্মহত্যার চেস্টা করেন। এরপর পুনরায় ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তৃতীয় দফায় আরেকবার আত্মহত্যার চেস্টা করেন রুবেল তবে তার পরিবারের সর্তকতায় এযাত্রাও শেষ রক্ষা হয় রুবেলের তার পরিবার তাকে দ্রুত উদ্ধার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বিবেচনা করে ভর্তি করেন। এমন ঘটনায় পরিবার শোকাহত।এবিষয়ে মাহমুদুল হাসান রুবেলের বড় ভাই মোঃ কামাল হোসেন বলেন আমাদের সাত ভাইবোনদের মধ্যে রুবেল সবার ছোট হওয়ায় সে সকলের অত্যান্ত আদরের। বাবা মার মৃত্যু পর আমি তাকে বিয়ে করানোসহ সার্বিক বিষয়ে খেয়াল রাখতাম। ভালই চলছিল রুবেলসহ আমাদের পরিবার কিন্তু একটি প্রতারণা সবকিছু এলোমেলো করে দিলো। তিনি আরো বলেন আমি এই প্রতারকচক্রের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।