স্বাধীনতার সুবর্ণজয়্ন্তী উদযাপন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এ লাঠি খেলা হয়।
বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা প্রদর্শন করে-বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী, কুষ্টিয়া চর দখল, লাঠি নৃত্যসহ বিভিন্ন কসরত প্রদর্শন করে।
এসময় লাঠি খেলা উপভোগ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, বীর মুক্তিযোাদ্ধা এ্যাডঃ জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ শংকর কুমার কুন্ডু, প্রফেসর ডঃ মোঃ মাযহারুল ইসলাম তরু, সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকিউল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান, জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ মোজাহার আলী প্রাং, গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ মহসিন আলী, বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুস সালাম, সহকারী কমিশনার জনাব মোঃ রুহুল আমিন, চন্দন কর, আশরাফুল হক, আশিস মোমতাজসহ অন্যরা।
লাঠি খেলা দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য এ লাঠি খেলা দেখে উৎফুল্ল দর্শকদের হাততালি দেয়।
বাংলাদেশ লাঠি বাহিনীর সমন্বয়ক সাবির হাসান চৌধুরী বলেন, ১৯৩৩ সালে মরহুম সিরাজুল ইসলামের হাত ধরে এ লাঠিয়াল বাহিনী পথচলা শুরু করে, বর্তমানে এ লাঠিয়াল বাহিনীতে ১ হাজার ৫০০ জন সদস্য রয়েছে। জাতীয় পুরস্কার, প্রথম আলো পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের লাঠিয়াল বাহিনী সারাদেশ ব্যাপী এ বাহিনী প্রোগ্রাম করে থাকে বলে জানান সমন্বয়ক সাবির হাসান চৌধুরী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।