একসময়ের বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম মসজিদ ‘গ্রেট মস্ক অব সামারা’। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে টাইগ্রিস নদীর তীরে সামারা নগরে ছিল এই মসজিদের অবস্থান। টাইগ্রিস নদীকেই আরবিতে দজলা নদী বলে।

নদীটি তুরস্কে উৎপত্তি লাভ করে ইরাকের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফোরাত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। জানা গেছে, নবম শতকে আব্বাসীয় খলিফা আল-মুতাওয়াককিল (৮৪৭-৮৬১ খ্রি.)-এর আমলে বিশাল এই মসজিদটি নির্মিত হয়।

যিনি কোনো এক কারণে বাগদাদ থেকে সামারায় চলে যান এবং পরবর্তী ৫৬ বছর সেখানেই থাকেন। সে সময় তিনি তৎকালীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মসজিদসহ আরো বহু স্থাপনা নির্মাণ করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৮৫১ সালে এই মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল, যা ১৭ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল।

 

মসজিদের মূল ভবনটি ছিল ৩৮০০০ বর্গ মিটারজুড়ে। ১২৭৮ সালে মঙ্গল শাসক হালাকু খানের বাহিনীর আক্রমণের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ বছর এটিই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদের বিশেষত্ব হলো শামুকের মতো দেখতে এই মসজিদের মিনার, যার নাম ‘মালাউইয়া’। ঘূর্ণায়মান পথের এই সুবিশাল মিনারটির উচ্চতা ৫২ মিটার, আর প্রস্থ ৩৩ মিটার।

সুবিশাল এই মিনারটি বর্তমান যুগের মানুষের জন্য ৪০০ বছর ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা এককালের বিশ্বের সর্ববৃহৎ মসজিদের স্মৃতিচিহ্ন মাত্র।

২০০২ সাল থেকে মার্কিন সেনারা ইরাকের দখল নিলে সামারাও চলে আসে তাদের দখলে। তখন আশপাশের অঞ্চল পর্যবেক্ষণের জন্য তারা এই মসজিদের মিনারে অবস্থান করত। পরে বোমার আঘাতে ২০০৫ সালে মালাউইয়া মিনারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস ডটকম ও উইকিপিডিয়া