২৩ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রী 25,000 ইউরো এর বিনিময়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে একটি ডিম্বানু(১) বিক্রি করার জন্য ডিম্বানু পুনরুদ্ধার অপারেশন করছে৷
___________________________________________
কিছু কিছু মেয়ে তো অনেকসময় একটা আইফোন কিনার জন্য হলেও ডিম্বানু বিক্রি করে।
ডিম্বানু বিক্রেতাদের মতে ডিম্বানু দান পুরুষের শুক্রাণু দানের মতোই সহজ। সাধারণত একজন পুরুষ এক সাথে এক লক্ষ থেকে ২০০ লক্ষাধিক শুক্রাণু উৎপন্ন করতে পারে। যতদূর জানা যায় শুক্রাণু দান পুরুষের স্বাস্থ্যের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না, এটি তাদের ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতি করে না৷ ডিম্বাণু শুক্রাণুর মতো অসীম সংখ্যক নয়৷৷ একজন মহিলা প্রতি ঋতুস্রাবে একটি মাত্র ডিম্বাণু উৎপন্ন করে ও তা বিকশিত করে৷ জীবদ্দশায় একজন মহিলা সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ টি ডিম্বাণু উৎপন্ন করতে পারে।
একবার যদি কোনও মেয়ে ডিম্বানু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়, ব্ল্যাক মার্কেটের মধ্যস্থতাকারী তার সাথে একটি “চুক্তি” স্বাক্ষর করবে। যদি মেয়েটি চুক্তিটি প্রথম দিকে মেনে তারপর ডিম্বানু দিতে অস্বীকৃতি জানায় তবে তাকে অবশ্যই মধ্যস্থতাকারী সংস্থাকে সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।(2)
যে মেয়েদের ইতিমধ্যে অর্থের অভাব রয়েছে তারা সাধারণত এই ব্যয় বহন করতে পারে না। এমনকি যদি তারা আফসোস করে ও ভয় পায় তবে তারা কেবল ঠুটে ঠুট কামড়ে সহ্য করতে পারে তবে তাদের সেটা চালিয়ে যেতেই হবে।
তারপরে তাদের শারীরিক পরীক্ষায় নেওয়া হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে, মেয়েটিকে প্রতিদিন একটি পুষ্টির ইনজেকশন নামক কোন কিছু ইনজেক্ট করা হবে, যা মহিলার শরীরের পক্ষে উপকারী বলে জানানো হয়।
প্রকৃতপক্ষে, তারা কেবল ডিম্বস্ফোটন ওষুধই ইনজেক্ট করে, এর উদ্দেশ্যটি হচ্ছে ফলিকলগুলি “পাকা” করা, যাতে ঋতুস্রাবের সময় মূল ডিম্বাশয়গুলি কেবলমাত্র একটি পরিপক্ক ফলিকল এর পরিবর্তে একাধিক পরিপক্ক ফলিকল দিয়ে পূর্ণ হয়। খামারের মুরগির মতো ডিম্বানু বিক্রেতাদের দ্রুত ডিম্বানু দেওয়ার জন্যই মূলত এই ইনজেকশনগুলো করা হয়।
এই ডিম পুনরুদ্ধার অপারেশনগুলি নিয়মিত হাসপাতালে করা হয় না, তবে কেবল তথাকথিত “স্টুডিওগুলিতে”(ক্লিনিক). করা হয় । এই জাতীয় ডিমের পুনরুদ্ধার সূঁচ খুব দীর্ঘ হয়, 35 সেন্টিমিটার দীর্ঘ এবং দুই মিলিমিটার পুরু। যদি 20 টিরও বেশি ডিম্বানু থাকে তবে 8-10 টি ছিদ্র করা হয় শরীরে।
তদুপরি, এই জাতীয় অস্ত্রোপচারের পরিবেশে অ্যানেশথেসিয়া হয় না(কারণ ডিম্বাণুগুলো যাতে সজীব থাকে) এবং ডিম্বানুগুলি সময়ের আগেই উত্থিত হয়। কিছু মেয়েদের শল্য চিকিত্সার পরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যাসাইট তৈরি হয়। অবশেষে, এগুলি একটি গুরুতর অসুস্থতার নির্দেশ করে এবং অনেকসময় তাদের জীবন বাঁচাতে হিস্টেরেক্টমি(৩) করতে হয় ।
শীতল এবং নোংরা ছোট্ট কামড়া, সাধারণভাবে সজ্জিত অপারেশন বিছানা, অজানা ডিম্বানু পুনরুদ্ধার সূঁচ, মেয়েদের যোনিতে বার বার অগণিত ছিদ্র করা এবং ডিম্বাশয় নষ্ট করা এসব ভয়ও শক্তিশালী অর্থের প্রলোভনের মুখোমুখি এসে নষ্ট হয়ে যায়৷ বিশ্বের যে মেয়েরা কখনো এর সাথে জড়িত হয় নি তাদেরকেও ধাপে ধাপে এই মৃত্যু পথ দিয়ে আগানোয় লোভী করে তোলে এই অর্থের প্রলোভন। আরও ভয়ানক হচ্ছে, এজেন্ট হিসাবে স্বেচ্ছায় স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিল যেই মেয়েগুলো তারা ব্যক্তিগতভাবে তার বন্ধুদেরকে অতল গহ্বরে টেনে নিয়ে যায়।
অসারতায় আপনাকে ধ্বংস করতে দেবেন না। এই মেয়েরা কেবল গর্ভই হারাবে না, দুর্দান্ত যৌবন এবং সুখী মা হওয়ার অধিকারও হারায়।(৪)
১- (ডিম্বানু যা পুনরুদ্ধার করে টেস্টটিউব বেবি তৈরী করা হয় অন্য পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিয়ে বাচ্চা তৈরী করা হয় কৃত্রিমভাবে)
2- কোম্পানির শর্ত মতে তার ডিম্বানু যদি জন্ম দানে অক্ষম হয় তাহলে কোম্পানি যাদের থেকে তার ডিম্বানুর জন্য টাকা নিয়েছে সে ক্ষতিপূরণ তার দিতে হবে!
৩- জরায়ু অপসারণ অপারেশন৷
৪- এধরণের অস্ত্র পাচার অনেকসময় জরায়ুর এমন ক্ষতি করে বসে যা স্বাভাবিক ভাবে মা হওয়ার ক্ষমতাকে বিনষ্ট করে৷
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।