এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ০২/০৮/২০২৩ তারিখ গভীর রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকা হতে উক্ত নৃশংস নির্যাতনের সাথে সরাসরি জড়িত শহীদুল ইসলাম মিলন (৩৫), পিতা-মৃত জমশের আলী, সাং-লতাবর, থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট, মিজানুর রহমান ওরফে মিষ্টার (৩৭), পিতা-মৃত সবুর, সাং-মেডিক্যাল পূর্ব গেইট, ধাপ চিগলি, থানা-কোতয়ালী, জেলা-রংপুর, রবিউল হাসান (২৭), পিতা-নাজির হোসেন, সাং-বড় রুপাই, থানা-গংগা চওড়া, জেলা-রংপুর এবং মোঃ লিমন মিয়া (২২), পিতা-ইন্তাজ আলী, সাং-লতাবর, থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকিটিম সুমন মিয়া একই এলাকার জমসের আলীর ছেলে মিলন মিয়া ও এন্তাজ আলীর ছেলে লিমন মিয়ার সঙ্গে ভারতীয় চোরাচালানসহ মাদক ব্যবসা করতেন। বেশ কিছুদিন ধরে এ ব্যবসা নিয়ে সুমন মিয়ার সঙ্গে মিলন মিয়া ও লিমন মিয়ার বিরোধ চলছে। এর জেরে গত ২৫ জুলাই রাতে সুমন মিয়াকে আটক করে ধৃত আসামিরা প্রথমে কিল ঘুসি ও পরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তাকে উলঙ্গ করে গোপনাঙ্গে রশি দিয়ে দুই কেজি ওজনের পানির বোতল বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। লতাবর এলাকায় সুমন মিয়া, মিলন মিয়া ও লিমন মিয়া ভারতীয় চোরাচালানসহ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি মাদক ব্যবসা নিয়ে সুমন মিয়া তাদের মাদক ব্যবসার তথ্য ফাঁস করলে ভিকটিম সুমন মিয়ার সঙ্গে মিলন ও লিমন মিয়ার বিরোধ বাধে। সেই নির্যাতনের ভিডিও চিত্র নির্যাতনকারীরা মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা প্রথমে গোপন রাখলেও পরে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নির্যাতনের শিকার যুবক কালীগঞ্জ থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।