রুবেল চক্রবর্তী, তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: মেঘনায় চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। তবুও জেলেদের জালে দেখা মিলছেনা রুপালি ইলিশ। দিনভর বিস্তৃর্ণ মেঘনায় জাল পেলে মাছ না পেয়ে অবশেষ খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে এখানকার প্রায় ১৫ হাজার জেলে পরিবার।

উপজেলার স্লুইজ ঘাট, চৌমহনী ঘাট, গুরিন্দা বাজার, কাটাখালিসহ বেশ কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রায় ১৫-২০ টি মাছ ঘাট রয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে ইলিশের ভরা মৌসুমে এসব মাছ ঘাট গুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠত। কিন্তু এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। মৌসুমের দুই মাস অতিবাহিত হলেও জেলেদের জালে মাছ ধরা না পড়ায় বর্তমানে মাছ ঘাট গুলোতে বিরাজ করছে নীরবতা।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত মাছ না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে মানবতের দিন যাপন করছে জেলে পরিবার গুলো। ধীরে ধীরে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে ঋনের জালে। ইলিশ সংকটের কারণে ইলিশ আহরণ ও বাজার জাতকরণের সাথে জড়িত এ অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। মেঘনায় শুধু ইলিশ নয় অন্য মাছেরও তেমন একটা  দেখা মিলছেনা। তবুও দু’মুঠো অন্ন জোগাতে তাদের চেষ্টার কমতি নেই।
জেলেরা বলেন যে পরিমান মাছ পাওয়া যায় এতে লাভের পরিবর্তে গুনতে হয় লোকসান। বর্তমানে মাছ না পেয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হয় আমাদের।
স্লুইজ ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ হাসেম মহাজন’ বলেন, প্রতিদিন যে পরিমান মাছ পাওয়া যায় তাতে ২শ টাকাও আয় হয় না। ভরা এ মৌসুমে মাছ না পেয়ে চরম দুর্দিনে রয়েছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আমির হোসেন বলেন, ইলিশ জলবায়ুর সাথে জড়িত। জলবায়ুর প্রভাবারে কারণে নদীতে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। ইলিশ হলো গভীর পানির মাছ। চর পড়ে দিন দিন নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় এবং পর্যাপ্ত জড় বৃষ্টি না হওয়ায় সাগর থেকে নদীতে মাছ আসছে না।