মনির খান, স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলের লোহাগড়ায় শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী গ্রামের গৃহবধূ আফরোজা খানম (২২)ও তার স্বামীর অজান্তেই বাড়িতেই এলো তালাক নামার কাগজ এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ওই গৃহবধূর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার ভাসুর শরিফুল আমার থেকে ৩/৪ মাস আগে একটা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়,ওই স্বাক্ষর আমার স্বামী আমাকে ফোন করে দিতে বলেন, এসময় তিনি আরও বলেন ভাসুর শরিফুল বলেন ডি,পি,এস খুলতে হবে তুমি স্বাক্ষর দাও।
তখন আমার স্বামী ঢাকায় চাকুরীতে থাকায় আমি ওই সাদা কাগজে স্বাক্ষর দেই।এর ৩/৪/মাস পরে আমাকে ছাড়তে হয় আমার সুখের সংসার।
গৃহবধূ আফরোজার পরিবার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শেখপাড়া বাতাসী গ্রামের আহাদ শেখের ছেলে সজীবুল ইসলামের সাথে মাকড়াইল গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার মেয়ে আফরোজার ৮/৯ মাস আগে শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়।
এদিকে আফরোজার মা ওই তালাক নামার বিষয়ে দোষ চাপাচ্ছেন একই গ্রামের এলাহি নামে একজনের নামে,তিনি বলেন এলাহী অনেক আগে থেকে আমার মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, আমরা তাতে রাজি না হয় এলাহি এমনটা করেছে মনে হয়,
এই নিয়ে এলাহি”র সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আফরোজা পরিচয়ে আমার ভাতিজি হয়,আমি এমন কিছু করি নাই এবিষয়ে আমার কিছু জানা নাই,এলাহি আরও বলেন আমি একদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে শামুকখোলা বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আফরোজা দের বাড়ির উত্তর পাশে বাগানের মধ্যে একই গ্রামের টুকু মোল্লা ও আফরোজাকে দেখতে পায়,এসময় আফরোজা দৌড়ে বাড়ির দিকে চলে যায়, তখন টুকু এসে আমার পা জড়িয়ে ধরে কাউ কে বিষয়টা না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।
এসময় গোপন সূত্রে জানা যায়, আফরোজার পরিবার অনেকদিন আগে এলাহীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সেটা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
আরো জানা যায় আফরোজার পিতার সাথে টুকু মোল্লার ব্যবসায়ী পাটনার হওয়ায় তাদের বাড়িতে যায়,এবং তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে পরকিয়া প্রেম চলে আসতেছে।
এই টুকু মোল্লা মাকড়াইল গ্রামের মৃত সাত্তার মোল্লার ছেলে।
উক্ত বিষয়ে আফরোজার স্বামী সজীবুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিয়ের পর থেকে আমি দেখি আমার বউয়ের সাথে টুকুর সম্পর্ক আছে এবং আমার সন্দেহ হয়। আর তালাকের কাগজ যে হুজুর কে দিয়ে করানো হয়েছে তার কাছে আমরা গিয়েছিলাম সে আমাদের জানিয়েছেন ওই কাগজ ভুয়া, এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।
তালাকের বিষয়ে আফরোজার ভাসুর শরিফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা কৃষক মানুষ আমার পরিবারের কেউ কোনো ডি,পি,এস করি না,ও আমি আমার ছোটো ভাইয়ের বউ এর থেকে কোনো কাগজে স্বাক্ষর নেই নাই।
এ ঘটনার ৩/৪ দিন পর আফরোজার ভাসুর শরিফুল ইসলাম আফরোজার বাবা মা কে জানায় যে আপনার মেয়ে আমার ভাইকে তালাক দিয়েছে। পরবর্তীতে একটি তালাক নামার একটি কপি পাঠায় দেয়। পরবর্তীতে ওই তালাকের কপি নিয়ে আফরোজা নড়াইলে কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় ওই গৃহবধূ আফরোজার পরিবারটি নানা, ভাবে হয়রানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।