মোঃ আহসান হাবীব সুমন, জেলা প্রতিনিধি জামালপুর: জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নিচে রাখা হয় আবর্জনার স্তূপ । সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে হাসপাতালের ব্যবহৃত জীবাণুযুক্ত তুলা, ব্যান্ডেজ ও ব্যবহৃত ঔষুধের ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে যা পচেগলে মিশে ছড়িয়ে দৃষিত করছে হাসপাতালের পরিবেশ। ব্যবহৃত নোংরা পানি জমে আছে হাসপাতাল চত্বরে যা মশা বংশবিস্ততারের জন্য হয়েছে বিশাল এক কার খানা বারছে ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি।

এতে করে হচ্ছে পরিবেশ দূষিত, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি অন্য দিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে রুগী ও রুগীর স্বজন বা হাসপাতালে আশে-পাশের স্থানীয় বাসিন্ধারা যা দৃশ্যমান বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর অসচেতনার জন্য এইরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে । হাসপাতালের ডা.মোঃ নাহিদুল ইসলাম বলেন পরিছন্ন কর্মী না থাকায় হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে সমস্যা হচ্ছে । আয়া,দোপার সংকটে ভুগছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক ফুট দূরে দূরে ফ্লোরসহ রোগীর বেড এর নিচে বর্জ্যর স্তূপ। জরুরী বিভাগ এর চার পাশে বা হাসপাতালের ভিতর সিরি কোঠা,বারান্দা,প্রতিটি ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে, ফ্লোর, দেওয়াল ও রুগীদের থাকার বেড, টয়লেট যেন জীবাণুর হাট।

এর মাঝখানে প্রতিদিন ফেলা হয়,চিকিৎসা বর্জ্য, রয়েছে ব্যবহৃত সুই, সিরিঞ্জ, তুলা, অব্যবহৃত ঔষুধ ও রোগীদের রক্ত, গজ-ব্যান্ডেজ ইত্যাদি।

পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তিএক রোগীর অভিভাবক বলেন, খোলা জায়গায় ফেলে রাখা এসব চিকিৎসা বর্জ্য অনেক ক্ষতিকর। আমরা যারা রোগীর সঙ্গে থাকি সবার স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে, নিচ্ছে না ঠিক মতো খোঁজ খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের ডা.মোঃ নাহিদুল ইসলাম ও রুগীর স্বজনরা দাবী জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টিতে শুন্য পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালে সুসজ্জিত করার আহব্বান করেন তিনি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, এই হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ এবং চিকিৎসক দের অবহেলার কারণে সাধারণ জণগণ এই হাসপাতালে আসতে ভয় পান।তিনি আরও জানান কয়েক দিন আগে রজব আলী নামে এক গরীব রিকশাওলা হাসপাতালে এলে ডাক্তারের অবহেলার কারণে রোগীটি মারা যান,শুধু তাই নয় উল্টো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ব্যক্তির পরিবারের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
উল্লেখ্য গত কয়েক দিন আগে হাসপাতালে রজব আলী নামে এক গরীব রিকশাওলা চিকিৎসার অবহেলায় মারা যান তার পর মৃতের স্বজনরা ডাক্তারের উপর চড়াও হয় এবং টানা হেচড়া করে এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐ পরিবারের উপর মামলা দায়ের করেন।