নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নে ঈদুল আযহার ( ভিজিএফ) এর চাউল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন এর নামে।

গত ১০ জুলাই ঈদুল আযহা উপলক্ষে পি আই ও অফিস কতৃর্ক দিঘলিয়া ইউনিয়নে ১০ কেজি করে ৫৪১ জনের নামে ৫ টন ৪৪০ কেজি চাউল বরাদ্দ পাই। সেই মোতাবেক অত্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ৫৪১জনের নামের তালিকা করে চাউল বিতরণ করেন।

কিন্তু ঐ ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে সমন্বয় করে চাউল বিতরণ করা হয় নাই এই কথা ও বলেছেন মেম্বারা।

সরোজমিনে যেয়ে খোঁজ খবর নিলে এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে থাকে দিঘলিয়া ইউনিয়নের। ৯ টি ওয়ার্ডের তালিকা দেখে সরোজমিনে কোন মিল পাওয়া যায় নাই। যাদের নাম শুন্যে ভাসছে তাদের চাউল নিলো কে?

তাছাড়া যে ওয়ার্ডে ৫০ বছর ধরে কোন হিন্দু ধর্মের লোক বসবাস ছিলো না সেই সকল ওয়ার্ডে হিন্দুদের নাম দিয়ে চাউল উত্তোলন করা হয়েছে, যা নিয়ম / বিধির পরিপন্থী।

ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ ফিরোজে শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার ওয়ার্ডে লোক সংখ্যা ২ হাজারের উপরে কিন্ত চাউলের নামের তালিকা ৭ টি তার মধ্যে যাদের নাম আছে দুজন পাই নাই, আর যে দুজনের নাম আছে ঐ নামে আমার ওয়ার্ডে কোন লোক নাই, আমি মনে করি এটা দূর্নীতির সামিল।

এদিকে মেম্বার মোঃ হাবিবুর রহমান,এবং খোকন বলেন আমার ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯৯৬ আমি পেয়েছি মাত্র ১০ টি কার্ড তাছাড়া আমার ওয়ার্ডে কোন হিন্দু লোকের বসবাস নাই কিন্ত তালিকায় দেখছি ১৪/১৫ জন হিন্দু ব্যাক্তির নাম আছে এটা কি করে সম্ভব হলো তা আমার বোধগম্য নয়।

মেম্বার ওমল বিশ্বাস কে তালিকা দেখানো হলে তিনি তিনি বলেন আমি অধিকাংশ লোক চিনি না আমি ১৪ টি কার্ড পেয়েছি তা ১৪ জনকে বিতরন করেছি। বাকি চেয়ারম্যান সাহেব জানে আমার জানা নাই।

দিঘলিয়া ইউনিয়নের সচিব মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি মেম্বারদের নিকট থেকে তালিকা নিয়ে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন কে দিয়েছি। তারপর তিনি কিভাবে তালিকা করেছেন আমার জানা নাই। তবে উনার একজন ব্যাক্তিগত সহকারী আছে উনি তালিকা করেছেন তাই জানি,এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন আমি বুড়ো মানুষ আমাকে বিপদে ফেলেন না আপনারা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে (০১৭১১৯৩৯৮৫৩) কথা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন আমি ব্যস্ত আছি কথা বলতে পারব না এখানে আসেন বলে ফোন কেটে দেন।

এ ঘটনায় লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান আমাকে এবিষয়ে কিছু বলেছে। আপনারা যে ভাবে বলেছেন উনি তা বলেন নাই। তবে আপনারা সরোজমিনে যা পেয়েছেন সেভাবে লিখবেন। তারপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।