নড়াইল জেলা লোহাগড়া উপজেলার ০৮ নং দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আজ ২ জানুয়ারী রোজ রবিবার ২০২২ সাল, ভিজিডি’র কার্ডের ৩০কেজি চাউল বিতরণ কালে সরাসরি ঘুষ গ্রহন করছেন ইউনিয়ন পরিষদ।
সূত্রে জানা যায় সরকার কোনো টাকা লাগে না কিন্তু ৩০টাকা করে কার্ড প্রতি ঘুষ দিতে হচ্ছে ভাতাভোগীদের, এমন অভিযোগ ভিজিডি’র কার্ডধারী ভুক্তভোগীদের।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রহমাত-ই-খোদা তার ক্যামেরায় ধরা পড়ে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহনের দৃশ্য। কার্ড প্রতি ৩০টাকা নেওয়া কথা জানতে চাইলে ০৫ নং ওয়ার্ড বাঘডাঙ্গা সারোলের মেম্বার আশরাফুল আলম তিনি সাংবাদিকের সাথে অসম্মান জনক আচারণ করেন।
৮নং দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বছরের পর বছর এই ভাবে ৩০ টাকা করে ঘুষ দিয়ে নিতে হচ্ছে ভিজিডি’র চাউল।নতুন বছরের ২ জানুয়ারী মাসে ৩৩১ জনকে ভিজিডি’র চাল দেওয়া হচ্ছে,আর নেওয়া হচ্ছে কার্ড প্রতি ৩০টাকা করে।
মোট ৩৩১জনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে ৯হাজার ৯শত ৩০ টাকা। প্রতি বছর জনগণের কাছ থেকে ১লক্ষ ১৯হাজার ১ শত ৬০টাকা ঘুষ ও দুর্নীতি করে চলছে ০৮ নং দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি’র দ্বায়িত্বে থাকা ৫নং ওয়াডের আশরাফুল আলম মেম্বার।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েক জন ব্যক্তি বলেন, প্রতি মাসে ভিজিডির চাউল নিতে তাদের দিতে হয় ৩০টাকা করে। সে সকল ব্যক্তিগন বলেন সরকার কোনো প্রকার টাকা নেওয়ার কথা বলে নাই, বিনা টাকায় চাউল বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন, তবে ব্যতিক্রম ভাবে চাউল নিতে হলে দিতে হচ্ছে ঘুষের ৩০টাকা। তাদের প্রশ্ন কেন এই টাকা দিতে হবে? ভুক্তভুগীগন বলেন এই বিষয়টি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের উপর নজর দিতে আহব্বান করেন।
ইউনিয়নের অসহায়দের জন্য চাউল,ভাতাকার্ড,বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা,সকল কিছু অনিয়মভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পরিষদ,যাদের পাওয়ার কথা পাচ্ছে না তারা, নিজেদের মত করে দেওয়া হচ্ছে সরকারী সুযোগ সুবিধা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট, পরিষদের দূর্নীতি আর অনিয়মের সঠিক বিচারের দাবী করেছে ভুক্তভুগীসহ সচেতন মহল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।