ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি বাজারটি গত ৭ বছর ধরে ইজারা বিহীন অবস্থায় রয়েছে। এতে সাড়ে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। মামলা জটিলতায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও অবৈধ ভাবে কালেশন করে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি গ্রামের শাহ আলম বাঁশহাটি বাজার ইজারা দেওয়া নিয়ে ২০১৫ সালে ৩ মার্চ ঈশ্বরগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক কাশপিয়া তাসরিন বাঁশহাটি বাজারের খাস আদায় করার বিষয়ে আইনগত কোনো জটিলতা আছে কিনা তাঁর সুস্পষ্ট মতামত জানতে চান। এটি জানানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন ঈশ্বরগঞ্জ চৌকির নান্দাইল আদালতের সরকারি উকিল (এজিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেককে।
তবে ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এজিপি আব্দুল মালেক বাজারের ব্যাপারে মতামত দিতে পারেননি। এতে বাজার থেকে খাস আদায় করা যাচ্ছে না। অপরদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও অবৈধভাবে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এনিয়ে গত ফেব্রুয়ারী মাসে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হলে ২৩ ফ্রেব্রুয়ারী চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র মো.হেলাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন।
প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বাঁশহাটি বাজারটি ইজারা তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর সহ ৭ দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করেন। মন্ত্রণালয়ের তদন্তের নির্দেশের ২ মাস পার হলেও  বহাল তবিয়তে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বাজারটি লুঠপাঠ করে খাচ্ছে।
জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, বিষয়টি ডিসি অফিস তদন্ত করতেছে সেখানে খোঁজ খবর নিয়ে দেখুন।