রাত তখন সাড়ে ৯ টা হবে। এ অবস্থায় বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে বসে থাকা শিশুটির বাবা আল আমিন স্ত্রীর ফোন পেয়ে দ্রুত বাড়িতে ছুটে আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তারা সন্ধান পায়নি আদরের বুকের ধন সন্তানকে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ জুন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রাম গ্রামে। পরের দিন ১৭ জুন শিশুটির বাবা আল আমিন এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক সপ্তাহ পার হলেও মেলেনি শিশু তাহসিনের সন্ধান।
শিশুটির মা সীমা খাতুন বলেন, ওইদিন এশা’র নামাজের পর দুই ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘরের দরজা খোলা থাকলেও বারান্দার গ্রীল আটা ছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাসুরের মেয়ে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ছেলে তাহসিনকে কোলে নেবে বলে খুঁজতে থাকে। এ সময় দেখতে পাই ছোট ছেলে বিছানায় নেই। এরপর মনির বাবাকে ফোন করি।
- শিশুটির বাবা আল আমিন বলেন, অনেক জায়গায় খুঁজেছি। সাতদিন পার হলেও কোথাও পায়নি আমার আদরের ধনকে। সন্দেহের তালিকায় যারা আছে, তাদের নাম থানায় বলেছি। তদন্ত চলছে। তাই তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করছি না।
জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন বলেন, আমরা সব জায়গায় খবর নিচ্ছি। খবর পেলেই বিস্তারিত জানাবো। এ নিয়ে আমাদের পাশাপাশি কাজ করছে পিবিআই ও ডিএসবি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।