রাজশাহীর বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে গাছ থেকে আম নামানোর সময় বেঁধে দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এরপরও বেঁধে দেওয়া সময় উপেক্ষা করে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে ঝুড়িতে সাজিয়ে পাকা আম বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট-মনিচত্বর, ভদ্রার মোড়, লক্ষ্মীপুর ও কোর্ট এলাকায় ভ্যানের ওপর ঝুড়িতে করে গোপালভোগ আম বিক্রি করছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।প্রতি কেজি আম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
আম বিক্রেতা জামাল জানান, গাছে আম পেকে গেছে। তাই বাগান মালিকের কাছ থেকে তিনি কিনে এনে বাজারে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও জানান, গাছ থেকে আম নামানোর বেঁধে দেওয়া সময়সীমার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। আম পেকে যাওয়ায় বাজারে এনেছেন তিনি। সরকারের নিষেধাক্কা থাকলে আর তিনি আম বিক্রয় করবেন না বলে জানান ।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর যেসব জাতের আম যেদিন থেকে নামানো শুরু হয়েছিল, এবারও সেই তারিখে ওই জাতের আম গুলো নামানো যাবে। এর মধ্যে সব ধরনের গুটি জাতের আমও নামানো যাবে আগামী ১৫ মে থেকে।
উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ২০ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রাণীপছন্দ ২৫ মে এবং হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে থেকে নামিয়ে হাটে তুলতে পারবেন বাগানমালিক ও আম চাষিরা।
এছাড়াও ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম রুপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামানো যাবে। এর আগে এইসব আম নামানো যাবে না।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার বলেন, ‘বিষয়টি নজরদারি করার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জেলা প্রশাসনের সব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রুতই তারা অভিযানে নামবেন। সময়ের আগে কোনো আম বাজারে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে কৃষিবিদ, ফল গবেষক, চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করে জেলা প্রশাসন আম নামানোর তারিখ নির্ধারণ করেন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।