বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে চলছে প্রধান শিক্ষককের নানা কৌশল। বিদ্যালয়ের সভাপতিকে না জানিয়ে ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিয়োগে স্বাক্ষর করিয়ে আপন ভাই-বোন সহ তিন পদের দুই পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াকুব আলী চৌধুরী বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, আয়া পদে গত ১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন অফিস সহায়ক পদে ৫জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৪ জন, আয়া পদে ৩ জন। পরীক্ষার ফলাফল শেষে নিরাপত্তা প্রহরী পদে ময়না গ্রামের বাচ্চু বিশ্বাসের ছেলে জাহিদ বিশ্বাস এবং আয়া পদে বাচ্চু বিশ্বাসের মেয়ে জাহিজদ বিশ্বাসের আপন বোন মিতু বিশ্বাসকে নির্বাচিত করে।

আর অফিস সহায়ক পদে বান্ধগ্রামের নবাব নামের একজনকে নির্বাচিত করে। নির্বাচিত করার পর প্রধান শিক্ষক ডিজির প্রতিনিধি ফরিদপুর জেলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিমরে দিয়ে নিয়োগপত্র স্বাক্ষর করান এবং প্রধান শিক্ষক নিজে স্বাক্ষর করেন। পরে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে স্বাক্ষর করতে বললে তিন পদের দুই পদে আপন ভাই বোন নিয়োগ পাচ্ছে জেনে সভাপতি স্বাক্ষর না করে চলে আসেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াকুব আলী চৌধুরী বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যারা প্রথম হয়েছে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। ডিজির প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। তবে সভাপতি স্বাক্ষর না করলে তো নিয়োগ সম্পন্ন হবে না। বিদ্যালয়ের সভাপতি সৈয়দ সাহিদুর রহমান সজল বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী চৌধুরী মোটা অংকের টাকা নিয়ে তিনজনকে নিয়োগ দিচ্ছে।

নিয়োগের মধ্যে রয়েছে আপন ভাই বোন। এ ছাড়া নিরাপত্তা প্রহরী যাকে নিয়োগ দিচ্ছেন সে বিকলংগঙ্গ। আমি যখন জানতে পেরেছি আপন ভাই বোন নিয়োগ পাচ্ছে তখন বাধা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ডিজির প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিয়োগে তাদের স্বাক্ষর নিয়েছে প্রধান শিক্ষক। এখন আমার কাছে ঘুরছে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। এ ছাড়া বিভিন্ন লোকদের দিয়ে নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য সুপারিশ করছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, নিয়োগ নিয়ে আমাকে ফোন দিবেন না। যা কিছু জানার দরকার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের নিকট থেকে জানেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, নিয়োগ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজির প্রতিনিধি ফরিদপুর জেলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের ০১৭১৭৩২৪১৫১ নম্বরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হলো না।