নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি: নওগাঁয় সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে মেয়েদের সঙ্গে নগ্ন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি করতেন এমন ৪ জন অপহরণকারীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় একজন ভিকটিম কে উদ্ধারও করেছে র্যাব সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নওগাঁ শহরের পাটালির মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা অপহরণকারীরা হলেন- নওগাঁ পৌর শহরের পাটালির মোড় এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৮), লুৎফর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন হিরা (৩৬), সদর উপজেলার কাঠ খৈইর এলাকার তাহের আলীর ছেলে হুজুর আলী (৪০), ও হাট-নওগাঁ এলাকার আক্তারুল জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২০)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত ৪ জন দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে দুলাল হোসেনের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি ও আদায় করত। এই সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা ৮ থেকে ১০ জন, যাদের নেতৃত্বে দিতেন দুলাল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ভিকটিম আব্দুস সামাদকে জমির কাগজ দেখানোর নাম করে দুলাল হোসেন ও হুজুর আলী ওরফে ভুনা উভয় মিলে অপহরণকারী দুলালের বাসায় নিয়ে আসে। এরপর ভিকটিমকে এক নারীর সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিলিয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের প্রদান করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা আরও ৭৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে অপহরণকারীকে দুলালের বাসায় আটকে রাখে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের একটি চৌকশ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে মূল হোতা দুলাল হোসেনসহ ৪ জন অপহরণকারীদের আটক করে। এ সময় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ ভিকটিমের মুক্তিপণ দেওয়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে আটককৃত অপরহণকারীদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।