ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ শুধু উচ্ছৃঙ্খলতাই নয়, দুর্নীতিও প্রবল গতিতে সংক্রমিক হচ্ছে দেশের সর্বস্তরে। প্রবল বন্যার মত দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি,প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য আজ চরম দুর্নীতির পরিচয় রাখছে।

ফলে সত্য ও সুন্দরের প্রত্যাশা সমাজ থেকে নির্বাসিত হচ্ছে। ঠিক তেমনি করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীর ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে বলুহর মৎস্য প্রজেক্ট বাংলাদেশের বৃহৎ মৎস্য প্রকল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রকল্প।

এটি ঝিনাইদহ জেলার কোঁটচাদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ানে অবস্থিত।পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও এতে রয়েছে। এ প্রকল্পে সরকারিভাবে দেশি বিদেশি বিভিন্ন মাছ নিয়ে গবেষণা করা হয় ।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রকল্প হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই মৎস্য হ্যাচারি প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় । টানা ৬ বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি ঊদ্ভোদন করা হয় এবং পুরদমে মাছ চাষ শুরু হয়। প্রথমদিকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রজাতির মাছের পোণা চাষ শুরু হলেও এখন (অর্ধ-শতাধিক) মাছের পোণা চাষ শুরু হয়।

কিন্তু থেমে নেই বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীর ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের দূর্নীতি। একাধিক মৎস্য হ্যাচারীর মালিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন তিনি সরকারী দামে বিক্রি করেন না মাছের পোনা।

যে দামে ভাউচার লিখেন তার থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা নিয়ে থাকেন। মাছের পোনার খাদ্য না দিয়ে বিক্রি করার কারণে পোনা মারা যায় তার কোন পদক্ষেপ নেন না তিনি।

এদিকে কোটচাঁদপুর ওয়েস্ট জোন ডিস্টিবেশন কোঃ লিঃ এর টাকা, পুরাতন গাড়ি মেরামতের টাকাসহ বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাতের ও অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে মৎস্য খামারের মালিক/ মৎস্য চাষীদের সাথে কথা বললে তারা বলে আমরা রেনুর দাম জানতে চাইলে কখনই দাম বলেনা,মৃগের রেনু পোনা আনলে হয়ে যায় তেলাপিয়া বা অন্যান্য।আবার রেনু পোনা খাদ্যর অভাবে এতটাই দূর্বল থাকে যে পুকুরে ছাড়ার পর মারা যায়।

এবিষয়ে কোটচাঁদপুর বলুহর মৎস্য হ্যাচারীর ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে যা আয় ঊপার্জন হয় তাদিয়ে সবদিক সামলান লাগে এবিষয়ে যশোর মৎস্য প্রকল্প পরিচালক জনাব নারান চন্দ্র দাস বলেন…আমি অভিযোগুল শুনেছি তবে এখনও ক্ষতিয়ে দেখিনি।আর কারই বা দায়িত্ব দিব।যে আসে সেই তো চুরি করে।