মাবিয়া রহমান |বিশেষ প্রতিনিধিঃ সানজিদা জেরিন,, এক অদম্য হার না মানা নারী। তার নামটি মনিরামপুর বাসীর কাছে মোটেও অচেনা নয়। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমাজের নিম্নবর্তী হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সর্বদা। মনিরামপুরের জন-কল্যাণমুখী অনেক কাজেই তার ভূমিকা অপরিসীম।

মহামারি করোনা ভাইরাসে যখন সারাদেশ শিহরিত, থমকে গেছে জনজীবন, অনাহারে কাটছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। ঠিক তখনই এই মহাবিপর্যয়ে তার নিজ জন্মভূমি মনিরামপুরে অনাহারি,গরীব অসহায় মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। খাদ্যদ্রব্য সহ আর্থিক সহায়তা করেছেন। হাটু পানিতে লেবে মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।

চেয়েছিলেন’ মানুষের পাশে থাকবেন সর্বদা, তাদের বিপদ আপদে ছুটে আসবেন, যতটুকু পারবেন নিজের সাধ্যমত নিজেকে বিলিয়ে দিবেন। কিন্তু চলতি লকডাউন তার এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বিঘ্ন ঘটিয়ে দিল।

পারিবারিক কাজে তার দিদার বাড়ি ভারতের যেয়ে লকডাউনের কবলে পড়ে দেশে আর ফিরতে পারছেন না। অবশ্য অনেক চেষ্টাও করেছেন আসার জন্য,, ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যেয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন দেশে ফেরার জন্য কিন্তু কোন উপায় মেলেনা। তাই বাধ্য হয়ে সেখানেই লকডাউনের দিন গুনতে হচ্ছে।

সোহাগ নামের এক ইজিবাইক চালকের আশা,, আজ যদি সানজিদা জেরিন দেশে থাকতো তাহলে কতই না ভালো হতো। আমি দেখেছি, করোনার সময় খাদ্য সামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অসহায় নিপীড়িত মানুষের মাঝে নিজে পৌঁছে দিয়েছেন। কারো সমস্যার কথা শুনলে তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে গেছেন তার সেবার জন্য। দেশে আবার লকডাউন আইছে সেবা করার মতো কাউকে দেখিনা, সানজিদা আপা থাকলে সাধারণমানুষ একটু হলেও উপকৃত হত।

অন্যদিকে,,অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক সমসাময়িকের সম্পাদক ও কপোতাক্ষ নিউজ পোর্টালের কলামিস্ট শাহজালাল কয়েকদিন আগে সানজিদা জেরিন সম্পর্কে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে “মণিরামপুরে তোমাকে খুব প্রয়োজন বোন” বলে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দেয়।

একটি বিশেষ সূত্রে জানাযায় যায়, মহামারী করোনাভাইরাসের প্রথম থেকে সানজিদা জেরিন মণিরামপুরে করোনা সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সহ খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন। সর্বসাকুল্যে তিনি উপজেলায় প্রায় আড়াই লক্ষ(250000) টাকা গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে সাহায্য প্রদান করেছেন।

এদিকে সানজিদা জেরিনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, খুব দ্রুতই তিনি দেশে ফিরবেন এমনটাই আশাবাদী।