নিজস্ব প্রতিনিধি(নড়াইল): নড়াইলে স্বৈরাচার হাসিনা হটানোর আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা মামলার অন্যতম আসামী, নড়াইল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল আলম জুয়েলের পক্ষে ভূমিকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাহেব বেগসহ বিএনপির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার (২০সেপ্টেম্বর) একটি সালিশে জুলফিকারসহ অন্যদেরকে জুয়েলের পক্ষে ভূমিকা নিতে দেখা যায়। জেলার বিএনপি শীর্ষ নেতাদের এমন স্ববিরোধী কর্মকান্ডে দলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির দলীয় একাধীক সূত্রে জানাগেছে, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউন্সিলর ইকবাল আলম জুয়েল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে হামলা মামলার আসামী হয়েও এলাকায় প্রকাশ্যে অবস্থান করে নানা অস্কানিমূলক কর্মকান্ড চালাতে থাকে। সম্প্রতি সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী চঞ্চল, নড়াইল পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল মিরাজ জনিসহ কয়েকজন জুয়েলের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে দুপক্ষে বিরোধ হাতাহাতিতে গড়ায়। ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে কাউন্সিলর জুয়েল নিজের সমর্থকসহ ওয়ার্ডবাসীদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হলে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান বিষয়টি আপোষের উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকালে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে একটি সালিশ মধ্যস্ততার আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী, পৌর বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, যুগ্ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাহেব বেগসহ বিএনপির কয়েক নেতা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কাউন্সিলর জুয়েলের পক্ষ নেন। এতে জুয়েলও তার ক্যাডাররা সাহস সঞ্চার করে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসানসহ উপস্থিত বিএনপিও এর অন্যান্য অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর মারমুখি হয়ে উঠলে দুই পক্ষে হাতাহিত বাঁধে। এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে গ্রেফতার করা হয় কাউন্সিলর জুয়েলকে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দলের ঐক্য বিনষ্টকর এমন কর্মকান্ড দলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।