স্টাফ রিপোর্টার, বাঘারপাড়া( যশোর): বাঘারপাড়ায় তথ্য অধিকার আইন অমান্য করে উপজলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। উপজলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইলেই সাধারণ মানুষকে সহ সাংবাদিক পর্যন্ত হয়রানির শিকার হচ্ছে । তিনি সরকারী নীতমালা উপেক্ষা করে সাংবাদিকদের পর্যন্ত হয়রানী করে অজ্ঞাত খুটির জোরে বহাল তবিয়তে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্য শাসন করে যাচ্ছেন।
 
জনগনের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রনয়ন করেছে। আর এ আইনকে বদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তথ্য গোপন করে অনিয়ম করে চলছেন এই কর্মকর্তা। তথ্য অধিকার আইনের ফরমমে আবেদন করললে তিনি তা গ্রহন করচছেন না। পাশাপাশি আবদনকারিকে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
 
বাঘারপাড়ার তরুন সাংবাদিকতা রাকিব হাসান জানান, কষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন কষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তার নিকট কিছু জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। তাই বাধ্য হয়ে তিনি গত ২৩-০৫-২০২১ তারিখে রজিস্ট্রি ডাকে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। পরদিন ২৪-০৫-২০২১ তারিখ ডাকবিভাগের পাষ্টম্যান আসাদুজ্জামান উপজলা কষি অফিসে চিঠি নিয়ে গেলে কষি কর্মকর্তা আবদনের চিঠি গ্রহন করতে আপত্তি জানান। প্রাপক চিঠি গ্রহন না করায় বিলি করা গেলা না’ এমন কথা লিখে চিঠি প্রেরকককে ফেরত দেয়া হয়।
 
তিনি আরও বলেন, “বহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কষি উনয়ন প্রকল্পের ০৩ দিন ব্যাপী নিরাপদ উপায়য়ে সবজি ও ফল চাষ এবং সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়য়ে কতজন কৃষক/কৃষাণী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের নাম ঠিকানাসহ মাষ্টাররীলের ফটকপি, এ প্রশিক্ষণে মোট বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ, খাতওয়ারী ব্যায়ের বিল ভাউচারের ফটোকপি চেয়ে কষি অফিসে আবদন করি। এছাড়া বিগত ১৬-০৩-২১ তারিখে চলতি মৌসুমমে ‘কৃষি প্রনোদনা/ভর্তুকির আওতায় পাট ও গম চাষিদের নামের তালিকা, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও তাদের জমির পরিমান এবং উল্লেখিত কৃষকরা কোন ধরনের উপকরণ পেয়েছেন ও তার পরিমান জানতে চেয়ে আবেদন করলেও তিনি এখনও পর্যন্ত সেই তথ্য দেননি।” তিনি আরো বলেন,”এখন পরবর্তি ধাপ ‘গ-ফরম’ এ আবদন করবা।”
 
রুহুল আমীন ১৩ আগষ্ট-২০২০ তারিখে বাঘারপাড়া কষি কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর হতেই গণমাধ্যমকর্মীদর তথ্য না দেয়া সহ নানারকম তালবাহানা করে সাংবাদিকদেরকে ঘুরাতে থাকেন বলে বাঘারপাড়ায় কর্মরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন।হয়রাণী করা তার নিত্য ঘটনা। সম্প্রতি শান্ত দেবনাথ নামক আরো একজন উদিয়মান সাংবাদিকদের কৃষি কর্মকর্তার নিকট তথ্য চাইতে গেলে বার বার কথার প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে তথ্য দিবেন না বলে স্রেফ জানিয়ে দেন।
 
এসব নানাবিধ অভিযোগের বিষযে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া আবেদনের কথা অস্বীকার করে বলেন,” আমি এ ব্যাপারে জানিনা। পরে অফিসে আসলে কথা বলব।” যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চদ্র বিশ্বাস বলেন, “ব্যাপারটা আমি আপনার মাধ্যম জানতে পারলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে।”