নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কে ডি আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের থেকে চার শত গজ পশ্চিম পার্শ্বে নবগঙ্গা নদী খননের ৪ লক্ষাধিক ফুট মাটি বিক্রি করেছে কথিত এক ঠিকাদার ও তার লোকজন।
মঙ্গলবার (১জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নবগঙ্গা নদী খননের দুই পাড়ে যে পরিমান মাটি থাকার কথা ছিলো সে পরিমান মাটি নেই। অথচ ওই মাটি ওই ঠিকাদারের কথিত ম্যানেজার শাহিন, মিজান, ও নাসির, এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাতের অন্ধকারে ট্রলি ভর্তি করে গ্রামের বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া এলাকাবাসীর গাড়ীর শব্দে তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ঠিকাদার পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রাণ বিষয়ক সস্পাদক। বিগত বিএনপির সরকারের আমলে স্বরাষ্টমন্ত্রী আলতাফ হোসেনের একান্ত আস্তভাজন হওয়ায় মরিচ বুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন।
তিনি লোহাগড়ার নবগঙ্গা নদী খনেরর ঠিকাদারির কাজ পেয়ে বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকার কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়াতে তার লোকজন দিয়ে লক্ষ লক্ষ ফুট নবগঙ্গা নদী খননের মাটি বিক্রি করেছেন।
এলাকাবাসী ফারুক মুনসী, আবদুল হাই, কামরুল মোল্যা, সাকিল, লালু, মেহেদি ও কে ডি আর কে স্কুলের শিক্ষক দুলু মুনসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের নদী খনন এলাকা থেকে ঠিকাদার তার লোকজন দিয়ে লক্ষ লক্ষ ফুট মাটি বিক্রি করছে। আর আমরা জমি হারিয়ে পথের ভিখারি হয়ে গেছি।
এলাকার বাকের খান সাখে কথা হলে তিনি জানান, আমার নিজ জমিতে মাটি ভরাটারের জন্য ম্যানেজার শাহীন কে ঘণ্টা প্রতি চার হাজার টাকা দেই। মহামান্য হাইকোর্টের অপেক্ষামান আদেশ উপেক্ষা করে ওই ঠিকাদার তার কথিত ম্যানেজার নাসির হাওলাদার কে দিয়ে নদী খননের কাজ করেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি নদী খননের সাইডে নেই। তিনি আরো জানান, আমার সঙ্গে কথা না বলে সাইর্ডের এস ও রতিনদ্রনাথের সঙ্গে কথা বলতে বলে ফোনটি কেটে দেন।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-এ্যাসিট্রান্ট ইনজিনিয়ার রতিনদ্রনাথের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিয়ষটি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ খবর নিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।