নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২১ জন। নিহত শিশু ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এর ক্লাস্টার ৫৪ এর বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে আব্দুল হাফেজ (১০)।
সোমবার সকালে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। উদ্ধার অভিযানে আব্দুল হাফেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ভাসানচর থানা হেফাজতে আছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। জানা যায়, শুক্রবার ট্রলারডুবির ঘটনায় আবদুর রহমান (৩২) নামের জীবিত আরেক রোহিঙ্গার সন্ধান পাওয়া গেছে।
তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীরহাটে এক ব্যক্তির আশ্রয়ে আছেন। এ পর্যন্ত ১৫ জন জীবিত এবং একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবদুর রহমানের (৩২) পাঁচ সন্তানসহ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২১ জন। আবদুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ভাসানচর থেকে ট্রলারে ওঠেন তিনি ও তার স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান। পরে রাতে ট্রলারটি ২ ঘণ্টা চলার একপর্যায়ে ঝড়ে সাগরে উল্টে যায়।
তখন তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ট্রলারের সবাই সাগরে ডুবে যান। সাগর তাকে ভাসতে দেখে একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা উদ্ধার করে। ভাসানচর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে নৌকাডুবির পর আশপাশের মাছ ধরার নৌকায় থাকা জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে নৌকায় ৩৭ থেকে ৩৮ জন ছিলেন। আজকে একটি শিশুর মরদেহ ও একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।